রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়(রাবি) চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক সুজন সেনকে স্বেচ্ছাচারী, অযোগ্য, প্রতারক, দলদাস, চাটুকার, তেলবাজ ও দুর্নীতির অভিযোগে অপসারণের দাবিতে প্রতিকী কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় চারুকলা মুক্তমঞ্চের সামনে পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা মিছিলে ‘ভাউচার সুজনের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘এক দফা এক দাবি, সুজন সেনের চাকরিচ্যুতি’, ‘কুলাঙ্গার শিক্ষকদের কালো হাত,
ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘সুজনের চামচারা, হুশিয়ার সাবধান’,‘চারুকলায় দূর্নীতি, চলবে না চলবে না’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘দালালদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ এসব স্লোগান দিতে থাকে।
পরবর্তীতে তারা বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আকারে অভিযোগপত্র দায়ের করেন । অভিযোগ পত্রে তারা লেখেন, দীর্ঘদিনের অন্যায়, অনিয়ম, স্বৈরাচারী এবং স্বেচ্ছাচারীতা মূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে পুণরায় একতাবদ্ধ হয়েছি। আমাদের দেখা চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেন আপাদমস্তক একজন স্বৈরাচারী, অযোগ্য, প্রতারক, দালাল, চাটুকার ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি। তিনি তার শিক্ষকতার কর্মজীবনের প্রতি পদে পদে তার অযোগ্যতা ও প্রতারণার পরিচয় দিয়ে এসেছেন এবং এসব ধামাচাপা রাখতে তিনি দিনের পর দিন শিক্ষার্থীদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে নিপীড়ন করে গেছেন। তার নানা অপকর্ম ও অত্যাচারে আমাদের শিক্ষাজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ড.সুজন সেনের বিরুদ্ধে অন্যায়, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, অযোগ্যতা এবং হেনস্তা নিয়ে চারুকলার বর্তমান ও সাবেকদের মধ্যে ৪৬ জন শিক্ষার্থীঅনলাইনে গুগল ফর্ম পূরণের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন । এছাড়া বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইতোপূর্বে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিভাগের সামনে ব্যানার টানিয়ে দিয়েছে, বিচার দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিও করেছে , একইসঙ্গে শহীদ জিয়াউর রহমান হলে প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের সময় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ‘ফাদার অব ক্রিমিনালস্’অ্যাখ্যা দিয়ে হল গেটেও ব্যানার টানিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানী প্রচেষ্টায় ড. সুজন সেনের বিরুদ্ধে বিভাগে এবং হলে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে, যাতে পরিলক্ষিত হয় সুজন সেন শিক্ষক হিসেবে অযোগ্য হওয়ার বাইরেও ব্যক্তি হিসেবেই চরমমাত্রায় অনৈতিক, দুর্নীতিবাজ ও অপরাধী।
এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা জানেন একজন চেয়ারম্যান চাইলেই কাউকে অব্যবহিত দিতে পারে না। আমরা অনুলিপিটা গ্রহণ করেছি এবং তার ভিত্তিতে বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে বসবো। অধিকাংশ শিক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে যা সিদ্ধান্ত আসবে আমি তা পেশ করতে পারবো। আগামী কালের মধ্যে আমরা বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবো।