অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন থাকবে এবং জাতীয় নির্বাচন কবে আয়োজন করা হবে সেটি পুরোপুরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস। তার এই ঘোষণার পর পরই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত নেতারা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে রাজনৈতিক সংকট যাতে সৃষ্টি না হয় তার জন্য দ্রুততম সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি করেছে বিএনপি। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোন কোন বিষয়ে সংস্কারে কাজ করবে এবং কিভাবে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে তার একটি রোড ম্যাপ দাবি করে তারা। অপরদিকে বিএনপির বিপরীত অবস্থান গ্রহন করেছে জামায়াত। প্রধান উপদেষ্টা এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সঠিক পথেই রয়েছে বলে মতামত দিয়েছে জামায়াত নেতারা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “দেশবাসীর উদ্দেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন রয়েছে। তবে আমরা আশা করেছিলাম এই সরকারের কর্মসূচীর একটি রোডম্যাপ তিনি দেবেন। আমরা গণতন্ত্রে উত্তরণের সেই রোডম্যাপ প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের মধ্যে পাইনি। আমরা সময় বেঁধে দিচ্ছি না, কিন্তু খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।”
পাশাপাশি সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে সব ধোয়াশা পরিষ্কার করার জন্যও আহবান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে জাতির আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। সরকার এখনো সঠিক পথে আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির নির্বাচনী রোড ম্যাপ দাবি করার ঘটনার সমালোচনা করেছেন তিনি। জামায়াত আমির বলেন ” শহীদদের পরিবারের আহাজারি এখনো থামে নি, আহতরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে অন্যদিকে বন্যা পরিস্থিতিতে দেশে এখন করুন অবস্থা চলছে। এমতাবস্থায় বিএনপি জনমানসের কথা চিন্তা না করে নির্বাচন নিয়ে পড়ে আছে”। এছাড়াও, দেশের বানিজ্য থেকে সবখানে বিএনপি দখলদারিত্ব শুরু করে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচনের দরকার কি? তারা তো সবকিছু দখল করেই ফেলেছেন, সরকারে তো এসেই গেছেন।
এমএ//