রায়হান রাফি পরিচালিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছে। এই বছরের ২৯শে ফেব্রুয়ারি সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, তবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে মুক্তির তারিখ পেছানো হয়। ঈদে মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও সেটাও সম্ভব হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নির্মাতা রায়হান রাফি ‘অমীমাংসিত’ মুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সেন্সর বোর্ডের আপত্তি ছিল যে, সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য। ছবিটির প্রযোজক শহিদুল আলম সাচ্চুকে পাঠানো এক চিঠিতে সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মো. মঈনুদ্দীন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, “সিনেমাটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে এবং এর কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তব ঘটনার সাথে মিল রয়েছে।”
টিজার মুক্তির পর থেকেই অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, সিনেমাটির গল্প সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। বিশেষ করে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির আলোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মিল রয়েছে বলে অনেকে ধারণা করছেন। সেন্সর বোর্ডের এক সদস্যও বলেছেন যে, এই সিনেমার গল্প সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এত বিতর্কের মধ্যে গত রোববার (১৮ আগস্ট) নির্মাতা রায়হান রাফি তার ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি লিখেছেন, “জনগণকে আর বোকা ভাবা যাবে না! অমীমাংসিত আসছে। আসতেই হবে।”
এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও সিনেমাটির উপর আপত্তি করা হয়েছিল। সেন্সর বোর্ডের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দি কোড ফর সেন্সরশিপ অব ফিল্মস ইন বাংলাদেশ, ১৯৮৫ এর ১ এর প্রথম, পঞ্চম ও সপ্তম দফায় বর্ণিত উপাদানসমূহ বিদ্যমান থাকায় ‘অমীমাংসিত’ চলচ্চিত্রটি জনসাধারণের প্রদর্শনের উপযোগী নয়। তবে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা চাইলে এ বিষয়ে আপিল করতে পারবেন।
সামাজিক এবং রাজনৈতিক নানা জল্পনার মধ্যে ‘অমীমাংসিত’ মুক্তি নিয়ে আগ্রহ ও বিতর্ক দুই-ই বেড়ে চলেছে।
এমএ//