নিউজ ডেস্ক
শ্রমিক আন্দোলনসহ নানামুখী অপপ্রচারের শিকার হয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প। চলতি অর্থ বছরের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সাড়ে চার মাসে তৈরি পোশাক খাতে রফতানি আয় হয়েছে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরে এ খাত থেকে রফতানি আয় হয়েছিল ৪৬ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরে রফতানি আয় ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে আশঙ্কা খাত সংশ্লিষ্টদের। নভেম্বর মাস শেষ হতে চললেও আসন্ন ফল মৌসুমে বিদেশি তেমন অর্ডার পায়নি বাংলাদেশ। ফলে এসব অর্ডার ভিয়েতনাম কিংবা কম্বোডিয়ার মতো প্রতিযোগী দেশগুলোর হাতে চলে যাওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে বর্তমানে স্প্রিং-সামার মৌসুমের পণ্য উৎপাদন চলছে। চলতি নভেম্বর মাস থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম এ মৌসুমের অর্ডার আসার কথা থাকলেও বিদেশি বায়ারদের কাছ থেকে তেমন সাড়া মিলছে না জানালেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা।
এ অবস্থায় বায়ারদের আস্থা ফেরাতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ বলেন, ‘এখন বায়ারদের বুঝানোর সময় এসেছে যে, বাংলাদেশে তারা যদি পণ্য উৎপাদনের অর্ডার দেন, তাহলে তারা নিরাপদে পণ্য দিতে পারবেন এবং নিরাপদে বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন করে আবার এখান থেকে সময়মতো পণ্যের সরবরাহ নিতে পারবেন।’