চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে আদালতের নির্দেশনাকে অমান্য করে সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি দখল করে তাঁরবেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (০৪ জুলাই) সকালে নাচোল উপজেলার ফতেপুর গ্রামে এই জমি দখলের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা, ভুক্তভোগী জমির মালিক, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বসতবাড়ি ও ফসলী প্রায় দেড় বিঘা জমি প্রায় ৭০ বছর ধরে ভোগদখলে রয়েছে ফতেপুর গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আজাহার আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম টুটুলের পরিবার। হঠাৎ করেই মনিরুল ইসলাম টুটুলের চাচাতো খালাতো ভাইয়েরা জমির মালিকানা দাবি করলে এনিয়ে আদালতে মামলা হয়। নিম্ন আদালতে রায় দেয়ার পর তা বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
জানা যায়, উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকলেও হঠাৎ করেই ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী সদস্য বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জমি দখলে যায়। এসময় তারা মনিরুল ইসলামের জমির মধ্যে থাকা বাঁশ কেটে তাঁরবেড়া দেয়। একই গ্রামের তিনটি জমি একইভাবে জোরপূর্বক দখল করে তারা। উপায় না পেয়ে জরুরি সহায়তা ৯৯৯-এ কল দেন মনিরুল ইসলামের পরিবার। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। তবে এর আগেই জোরপূর্বক জমিতে তাঁরবেড়া দিয়ে ঘিরে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
পৈতৃক সূত্রে জমির মালিক মনিরুল ইসলাম টুটুল বলেন, সকাল ভোরেই বাইরে থেকে লোকজন ভাড়া করে নিয়ে এসে দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে জোরপূর্বক জমিগুলো তাঁরবেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়। প্রাণরক্ষার ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। কারন এর আগেও একইভাবে জোরপূর্বক দখল করতে আসলে বাধা দিতে গেলে মারধর হামলার শিকার হয়।
মনিরুল ইসলামের ছেলে মো. রিমন জানান, আদালতে মামলা চলমান অবস্থাতেও কোন ধরনের সীধান্ত ছাড়াই তারা জোরপূর্বক জমিগুলো দখল করে নেয়। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ও সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্র সজ্জিত থাকায় কোন প্রতিবাদ করতে পারিনি। আকবর আলী তার ভাই তালেব, লতিব, খতিবরা মিলে জমিগুলো দখল করেছে। আমরা এর ন্যায়বিচার চাই।
এবিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি দখলকারী আকবর আলী। তবে আদালতে বিচারধীন থাকা অবস্থায় আদালতের সীধান্ত ছাড়াই জমি দখলের কথা স্বীকার করেন আকবর আলী। তিনি বলেন, আদালতে মামলা চলমান থাকলেও আমাদের দখলে জমি না থাকায় আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেয়নি। এবার দখল করেছি, আদালত রায়ও আমাদের পক্ষে দিবে।
নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, জরুরি সহায়তা ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এনিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।