বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গুলি চালানোর ঘটনায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যাকাণ্ডের মামলায় আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনির।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন।
আসামিপক্ষে থাকা এক আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। তবে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এজলাসে চিৎকার করে দাবি করেন যে, আসামিদের হাতকড়া পরানো হোক। নারী বিবেচনায় দীপু মনিকে হাতকড়া পরানো হয়নি। তিনি ডকের এক কোণায় মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর কয়েকজন নারী পুলিশ সদস্য তাকে ঘিরে রেখেছিলেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, ১৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি এ মামলার আবেদন করেন। এরপর আদালত মোহাম্মদপুর থানার ওসিকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ এবং যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিল। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে পুলিশের নির্বিচার গুলি চালানোর ফলে বহু ছাত্র-জনতা নিহত ও আহত হন। ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে বসিলার ৪০ ফিট এলাকায়ও একই ঘটনা ঘটে, যেখানে পুলিশ গুলি চালায়। এ সময় রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানি আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এমএ//