কোটা সংস্কার ও আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। হলের তালা ভেঙে আন্দোলন নামেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে বঙ্গবন্ধু হলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করে এ মূহুর্তে বলতে পারছিনা৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
জানা গেছে, বেলা ৩টার দিকে কোটা সংস্কারের দাবি ও ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। প্রধান ফটক দিয়ে বিক্ষোভ নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন আন্দোনকারীরা। পরে প্যারিস রোডে অবস্থান করে শুরু করেন বিক্ষোভ। এইদিকে, তাদের মাথায় হেলমেট ও মুখে কাপড় বাঁধা কিছু লোক বঙ্গবন্ধু হল গেটের তালা ভেঙে ঢুকে গিয়ে ৮-১০টি বাইকে আগুন দেয়। এ সময় ভাঙচুর করা হয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষ। তবে এই শিক্ষার্থীরা আন্দোলনকারী কিনা তা সনাক্ত করা যায়নি। হলের ছাদে ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানসহ বেশকিছু নেতাকর্মীকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। বিক্ষোভ নিয়ে প্যারিসে অবস্থান করছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নৃশংস হামলার প্রতিবাদ করছি। ঢাকায়, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম সহ সারা দেশে আমার ভাইবোনকে কেন রক্তাক্ত করা জবাব চাই। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। তাহলে বাঁধা কেন? রক্ত কেন?
এর আগে, দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসে বাইক নিয়ে শোডাউনও দেন নেতাকর্মীরা। এদিকে বেশকিছু হলে তালা দিয়ে আন্দোলনে আসতে শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়া অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা। পরে তালা ভেঙে আন্দোলনে নামে আন্দোলনকারীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের হলে হলে বসে আন্দোলনকারীদের আটকানোর চেষ্টা করছিল ছাত্রলীগ। তারা দুপুর থেকে বাইক শোডাউন নিয়ে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে থাকেন। তবে শিক্ষার্থীরা বের হলে তাদের ক্যাম্পসে শোডাউন দিতে দেখা যায় নি।
নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি। কোন বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি না হয়, সেটা চেষ্টা করছি।
দীন ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়