‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ও সমন্বয়কদের প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন লালন শাহ হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে হল থেকে বের করে দেয়। রবিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে এ ঘটনা ঘটেছে।
মারধরের শিকার আহসান উল্লাহ অলি লোকপ্রসাশন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়া অলির পক্ষে কথা বলায় একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নাফিজ ইকবালকেও ধাওয়া করে হলছাড়া করেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, গত রোববার হলের নিরাপত্তা ও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে হল কর্তপক্ষ হলটির গণরুম বাতিল এবং অবৈধ সিটধারীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা সহ পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে হলের শিক্ষার্থীরা গতকাল রাতে আলোচনায় বসেন। পরে সেখানে সহ-সমন্বয়ক হাসানুল বান্না অলি উপস্থিত হন।
আলোচনা চলাকালীন আহসান উল্লাহ জুলাইয়ে গণআন্দোলন ও সমন্বয়কদের নিয়ে নানা রিরূপ মন্তব্য করেন আহসান। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা একপর্যায়ে আহসান উল্লাহ হলের টিভিরুমে আবদ্ধ করে মারধর করেন। পরে আহসান উল্লাহ টিভি রুম থেকে বেরোলে শিক্ষার্থীরা ধাওয়া করে তাকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন।
আহসান উল্লাহ বলেন, ‘হল প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে আমরা হলের শিক্ষার্থীরা সবাই আলোচনায় বসি। সেখানে আমি বাইর থেকে না উঠিয়ে গণরুম থেকে সিটে উঠানোর জন্য বলি। এবং কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মাধ্যমে হলের সিট বণ্টন না করে গণরুমে যারা থাকবে তাদের থেকে উঠাতে বলি। কিন্তু হলের গণরুম থেকে না উঠিয়ে বাইরে থেকে ছেলেরা উঠছিলো। এসব বিষয়ে বলায় তারা আমাকে ছাত্রলীগ বললে আমি একটু রাগান্বিত হয়ে বলি যে বান্না নিজেও একসময় ছাত্রলীগের সাফাই গাইতো। এতে তারা আমাকে উল্টো আন্দোলন করি নাই আমি ছাত্রলীগের সাথে ছিলাম এমন অভিযোগ দেয়। এসময় তারা আমাকে টিভি রুমে আটকে রাখে হেনেস্তা করে। পরে আমাকে তারা হল থেকে ধাওয়া দেয় এবং ইট পাটকেল ছুড়ে। এতে আমি আহত হই।
সহ-সমন্বয়ক হাসানুল বান্না অলী বলেন, ‘আমরা হলের সকল শিক্ষার্থীরা যখন আলোচনায় বসি সেখানে আহসান বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আগষ্টের ২ থেকে ৫ তারিখের দিনগুলোতে শুধু হয়েছে। এছাড়া অন্য কোন দিন গুলোতে আন্দোলনই হয়নি। তার এ কথায় শাটডাউনের মধ্যেও আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়। পরে সে পরিস্থিতি বুঝে দৌঁড়িয়ে পালিয়ে যায়।’
লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন বলেন, রাতে ঘটনা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে অভিযোগের পরিপেক্ষিতে আমরা ব্যবস্থা নিব।
আরএ//