বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত জুলাই মাস থেকে উত্তাল ছিলো সারা দেশ। এর প্রথমদিকে শোবিজ তারকারা এ নিয়ে চুপ থাকলেও পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর সরব হয়েছেন অনেকেই।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে কোটা সংস্কারের পক্ষে রাজপথে নেমেছিলেন ও নিজেদের অবস্থান জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও পোস্ট দিয়েছিলেন শোবিজ অঙ্গনের একাধিক তারকা।
অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনদের মধ্যে রাজপথে দেখা যায় অভিনেতা মোশাররফ করিম, আজমেরী হক বাঁধনদের। এছাড়াও ছিলেন রাফিয়াত রাশিদ মিথিলা, নুসরাত ইমরোজ তিশা, তাসনিয়া ফারিন, আশফাক নিপুণ, সোহেল মণ্ডল, সাফা কবির, সাবিলা নূর, সিয়াম আহমেদ, খাইরুল বাশার, নির্মাতা অমিতাভ রেজা, জাকিয়া বারী মমর মতো অসংখ্য শিল্পী।
তবে, রাজপথে না নামলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর সরব হয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি, শবনম বুবলী, অভিনেতা নিলয় আলমগীর, নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ, জয়া আহসান ও মাহিয়া মাহিসহ আরো অনেকেই।
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, হত্যা-সহিংসতা-গণগ্রেফতার-হয়রানির প্রতিবাদে এই সংহতি সমাবেশ করেছিলেন শিল্পীরা।
সংহতি সমাবেশে অংশ নিয়ে, অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেছিলেন, “আমরা রক্তপাত চাই না, শান্তি চাই। এসবের বাইরে থাকতে চাই।”
সিয়াম আহমেদ মন্তব্য করেছিলেন, “আমার পক্ষ থেকে আলাদা কিছু বলার নাই। সারা দেশের মানুষের যে দাবি সেটাই আমার দাবি।”
আজমেরী হক বাঁধন বলেছিলেন, “আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। যেদিন থেকে গুলি চলেছে, সেদিন থেকেই আমরা সবাই মানসিকভাবে ভালো নেই।”
এই আন্দোলন শুধু শোবিজ জগতের তারকাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর সালমান মুক্তাদির, তাসরিফ খানসহ অন্যান্য ব্যক্তিরাও শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাজপথেও ছিলেন।
শিল্পী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের এই সক্রিয় অংশগ্রহণ কোটা আন্দোলনের দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি করেছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে এই আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে। এটি প্রমাণ করেছে যে, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার রক্ষায় সেলিব্রেটি ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
মাহফুজা শাহানা মাইশা//