দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভ। শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এ অভিনয় করে ব্যাপক আলোচনায় ওঠে এসেছিলেন তিনি। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে পর্দার বাইরে।
অনেকটা আড়ালেই চলে যান এ নায়ক। তবে সম্প্রতি আড়াল ভেঙে সামনে এসেছেন শুভ। কোরবানির ঈদে ‘নীলচক্র’ দিয়ে পর্দায় ফিরছেন তিনি। এদিকে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে আওয়ামী সরকারের আমলে সুবিধা নেয়া শিল্পীরা বেশ বিপাকে পড়েন। শুভও ছিলেন আড়ালে। ঘরবন্দী হয়ে পড়েন এ অভিনেতা। মুজিব সিনেমায় বিনাপারিশ্রমিকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তবে এর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পুর্বাচলে প্লটও পান।
তবে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার সেটা বাতিলও করে। সবকিছু মিলিয়ে আরিফিন শুভ বেশ বিপাকেই ছিলেন। নিজের প্রথম হিন্দি কাজের জন্য বেশ কয়েকমাস ধরে ভারতে অবস্থান করছেন শুভ। সম্প্রতি এক সিনেমার প্রিমিয়ারের জন্য কলকাতায় হাজির হন নায়ক। সেখানে মুখোমুখি হন ওপার বাংলার শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের সঙ্গে।
ভারতীয় গণমাধ্যমে শুভ জানান, তিনি আগাগোড়া অরাজনৈতিক একজন মানুষ।
সাক্ষাৎকারে রাজনৈতিক প্রসঙ্গে উঠতেই শুভ বলেন, ‘পৃথিবীতে যত জায়গায় এ পর্যন্ত কোনও অভ্যুত্থান হয়েছে, তার সঙ্গে কিছু কোল্যাটারাল ড্যামেজ হয়েছে। আপনি পার্কের মধ্য দিয়ে শান্তিতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু আচমকা একটা ঘটনার শিকার হয়ে গিয়েছেন। এতে কিছু করার থাকে না। আমি সচেতন ভাবে অরাজনৈতিক মানুষ। অভিনয় ছাড়া কিচ্ছু করি না। কোনও ব্যবসা নেই, ব্যাকআপ নেই। যদি সত্যি সত্যি সমস্যায় পড়তাম, তা হলে কলকাতার এই কাফেতে বসে সাক্ষাৎকার দিতেই পারতাম না।’
আগামীতে নিজের কাজ প্রসঙ্গে সুদর্শন এই নায়ক বলেন, “আমার আগামী ছবি ‘নীলচক্র’ রিলিজ করবে সামনে। তার পর ‘নুর’, ‘ঠিকানা বাংলাদেশ’, ‘লহু’ রয়েছে। আমি সারা জীবন দুটো জিনিসকে গুরুত্ব দিয়েছি, যে চরিত্রটা আমাকে দেওয়া হয়েছে সেটা হয়ে ওঠা। আর আমার কাজ দেখে দর্শকের প্রতিক্রিয়া। আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে বোকা লোকের চরিত্র দিন, আমি সেখানে নিজেকে উজাড় করে দেব। কিন্তু বাস্তবেও আমি সেই বোকা লোকটা, এমন তো নয়। আশা করি আমি সবটা বোঝাতে পেরেছি।