রুশাইদ আহমেদ: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের শান্তিপূর্ণ পাহাড়ি শহর পেহেলগাম হঠাৎই যেন পরিণত হয়েছে রণক্ষেত্রে। চলতি বছরের এপ্রিলে এলাকাটিতে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায় বেশ কয়েকজন ভারতীয় পর্যটক নিহতের পর থেকেই ভারত সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলছে পাকিস্তানের দিকে। তবে পাকিস্তান তা নাকচ করে পাল্টা তির ছুঁড়ছে ভারতের দিকেই। ফলে দুদেশের মধ্যকার চিরায়ত উত্তেজনা এসে পৌঁছেছে চরমে।
ভারত সিন্ধু নদীর পানি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। পাকিস্তানও দিয়েছে শিমলা চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর পাল্টা হুমকি। এরই মধ্যে এবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ আগামী দু-তিন দিন এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় যাবে বলে মন্তব্য করেছেন।
তবে কি আরেকটি ইন্দো-পাক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে এই উপমহাদেশ?
এ দিকে, উভয় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণ ছাপিয়ে গণমাধ্যমেও চলছে তীব্র বাকযুদ্ধ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মতে এটা সন্ত্রাসবাদীদের গভীর ষড়যন্ত্র, আবার পাক টিভি-চ্যানেলের দাবি সীমান্ত রাজনীতির ফলাফল হলো পেহেলগাম হামলা। সে যাইহোক, আদতে সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা এখন রয়েছেন অকস্মাৎ সংঘাত শুরু হওয়ার আতঙ্কে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা কেবল দু’টি দেশের নিরাপত্তা নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুদেশকে মধ্যস্থতার টেবিলে নিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁরা।
পেহেলগাম আজ কাঁদছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই কান্না কি শুধু পেহেলগামের? নাকি গোটা উপমহাদেশের? যুদ্ধ নয়, শান্তি হোক জয়ী— এটাই কাম্য এখন উপমহাদেশবাসীর।