জুলাই আন্দোলনে সারাদেশে নিহত শহিদদের স্মরণে ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘দ্রোহের গান ও কাওয়ালী সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পনে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাগ্রত মঞ্চ। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিবেশন করেন ব্যতিক্রম সাংস্কৃতিক জোটেরশিল্পীরা। এতে কাওয়ালী, আবৃত্তি ও অভিনয় পরিবেশনা করা হয়।
এ বিষয়ে আওরঙ্গজেব সজিব নামে এক শিক্ষার্থী বলেন:
“কাওয়ালি মুসলিম কবিদের হাজার বছরের ইতিহাস বহন করে। এতোদিন ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কোনো ধরনের ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমরা দেখিনি। আজ ক্যাম্পাসে এমন সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত লাগছে। আমি চাই এরকম সুস্থ সংস্কৃতি আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। আমি সবাইকে অনুষ্ঠানে আসার জন্য আহ্বান জানাই।”
হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিপন হোসেন বলেন:
“অত্যন্ত সুশৃঙ্খলতার সাথে এমন আয়োজন আমাকে মুগ্ধ করেছে। ইসলামী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন দেখতে পেয়েছি। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাানের উদ্যোগে এমন আয়োজন করার প্রত্যাশা করি।”
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। আগে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিলোনা। এর আগে ঢাবিতে যখন কাওয়ালির আয়োজন করা হলে সেখানে স্বৈরাচারের দোসররা বাধা প্রদান করে।
তারা আরো বলেন, যেহেতু ক্যাম্পাসে এটি প্রশাসনবিহীন একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থী সন্ধ্যার পর বিছিন্নভাবে ঘোরাফেরা করে এবং অপ্রাসঙ্গিক ও অশালীন কোনো কাজের দায়ভার আয়োজকরা নিবে না।অনুষ্ঠান সকলের জন্য উন্মুক্ত। তাই ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তামিম/আরএস