গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা গণহত্যা সমর্থন করার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৯জন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত এবং ক্লাস থেকে বয়কট ঘোষণা করে রাতের অন্ধকারে টানানো হয়েছে ব্যানার। এতে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিথুন বৈরাগীর নাম থাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকালে ব্যানার সরিয়ে ফেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতল জড়ো হয়ে একটি মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ ‘আমার শিক্ষক লাঞ্জিত কেন, প্রশাসন জবাব চায়’, ‘মিঠুন স্যারের অপমান মানি না, মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমি একজন স্যারের ছাত্র হিসেবে এর তীব্র নিন্দা জানাই। কোন এক গোষ্ঠী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য স্যারকে অপমান করেছে। স্যার আন্দোলনের প্রথম থেকেই ছাত্রদের পক্ষে ছিলেন। স্যার আন্দোলন চলাকালে সবসময় আমাদের খোঁজ খবর নিতেন। আন্দোলনের সময় আমরা অনেকেই গুলিবিদ্ধ হই স্যার তাদের ফোন দিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। স্যার সবসময় গুলিবিদ্ধ অনেকের চিকিৎসার জন্য সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন প্রশাসনের কোন সহায়তা লাগলে তাকে যেন জানাই।
সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক তানবির মন্ডল বলেন, আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং অন্যান্য জায়গায় বির্তকিত একটা ব্যানার টানানো হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে শিক্ষকদের একাংশ আন্দোলনের বিরোধীতা করছেন। তবে এখানে কয়েকজন শিক্ষক আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে থেকে বলতে চায় যারা এই বির্তকিত ব্যানার টানিয়েছে তাদেকে বের করা হোক। তবে ৪ তারিখের পর শিক্ষক কর্মচারীদের একাংশ স্বৈরাচারির পক্ষে মিছিল এবং স্লোগান দিয়েছে তাদেরকে বের করে শাস্তি দেওয়া হোক।