ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল দেশটির বিতর্কিত হিজাব আইন স্থগিত করেছে, ফলে এর কার্যকরের তারিখ পিছিয়ে গেছে। আইনটি শুক্রবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান আইনটিকে “অস্পষ্ট” উল্লেখ করে এটিতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।
প্রস্তাবিত আইনটি অনুযায়ী, নারীদের চুল, হাতের বাহু ও পায়ের নিম্নাংশ উন্মুক্ত রাখার জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছিল। তবে, প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান নির্বাচনী প্রচারণার সময় ইরানের নারীদের প্রতি কঠোর আচরণের সমালোচনা করেন এবং ব্যক্তিগত জীবনে সরকারের হস্তক্ষেপ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এ আইন নিয়ে গভীর হতাশা দেখা দিয়েছে।
গত সপ্তাহে ৩০০ অধিকারকর্মী, লেখক ও সাংবাদিক নতুন হিজাব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এটিকে “অবৈধ ও অকার্যকর” বলে অভিহিত করেন। তারা প্রেসিডেন্টকে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, আইনটির সমর্থকরা প্রেসিডেন্টের প্রতি দ্রুত এটি কার্যকর করার দাবি জানিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। তবে পেজেশকিয়ানের সমর্থকরা মনে করেন, এ ধরনের কঠোর আইন তরুণদের আইন লঙ্ঘন ঠেকাতে পারবে না, বরং পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে।
সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের প্রতিবাদ এবং সাহসী অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে, ইরানের সমাজে এ বিষয়ে বিভাজন বাড়ছে। আইনটির ভবিষ্যৎ কার্যকারিতা নিয়ে এখন অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।