ইসকনের নিষেধাজ্ঞা ও প্রসার বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ৫৮ বছর আগে যাত্রা শুরু করে এবং বর্তমানে বিশ্বের শতাধিক দেশে সক্রিয়। তবে, সংগঠনটি বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে।
ইসকন এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করে প্রভুপাদ এবং ইসকন হল গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতবাদের অনুসারীর একটি হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ।
এই সংগঠনটি ইসকনের মূল ধর্ম বিশ্বাসটি শ্রীমদ্ভগবত ও অন্যান্য বৈদিক শাস্ত্র উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ।
ইসকন গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের অংশ গৌড়ীয় গৌর অঞ্চলের উৎপত্তিস্থলটি বোঝায়। এবং প্রায় পঞ্চদশ শতাব্দী প্রবর্তিত হয় এবং 1960 দশক থেকে পাশ্চাত্য ছড়িয়ে পড়ে
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে ১৯৭০-৮০-এর দশকে ইসকন নিষিদ্ধ থাকলেও ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর কার্যক্রম চালানোর অনুমতি পায়।
চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও আফগানিস্তানে ইসকনের কার্যক্রম এখনো নিষিদ্ধ। ইন্দোনেশিয়ায় এটি আংশিকভাবে কার্যক্রম চালালেও কঠোর শর্ত রয়েছে।
বাংলাদেশে ইসকন সত্তরের দশকে যাত্রা শুরু করে এবং বর্তমানে বেশ কয়েকটি মন্দির পরিচালনা করছে।
ঢাকার স্বামীবাগ মন্দির এর অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
এ ছাড়া ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা, ইসরায়েলসহ আরও অনেক দেশে ইসকন ব্যাপকভাবে সক্রিয়।
তবে তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তানে তাদের কার্যক্রম কঠোর নজরদারির অধীনে।
বিশ্বব্যাপী ইসকনের ধর্মীয় কর্মকাণ্ড সমর্থন ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ইসকনের নিষেধাজ্ঞা ও প্রসার নিয়ে আরো পড়ুন বাংলাদেশে ইসকন নেতা গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিজেপির বিক্ষোভ । আমাদের বিডিএন ৭১ এর ইউটিউব ঘুরে আসুন
আরএস