উপকূলীয় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গবেষণার পরিসর আরও প্রসারিত করতে এবার একসাথে কাজ করবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের শ্যামেন বিশ্ববিদ্যালয়। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আজ ৮ মে (বৃহস্পতিবার) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে স্বাক্ষরিত হলো একটি সমঝোতা স্মারক (MoU)।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুল এবং শ্যামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টাল ওয়েটল্যান্ড ইকোসিস্টেমস বিষয়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কী ল্যাবরেটরির মধ্যে সম্পাদিত এই চুক্তি উপকূলীয় গবেষণায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী এবং শ্যামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কী ল্যাবরেটরির পরিচালক প্রফেসর ড. ইহুই ঝাং (Yihui Zhang)।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়, যৌথ গবেষণা, তথ্য ও প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে এটি একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেন, “এই চুক্তি শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি একাডেমিক উৎকর্ষতা এবং টেকসই উন্নয়নের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি। আমরা আশা করি এই অংশীদারিত্ব শুধু গবেষণায় নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় গবেষণায় শ্যামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত কার্যকর হবে, বিশেষ করে দেশের ব-দ্বীপভিত্তিক উন্নয়ন নীতির আলোকে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান, জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম হোসেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, এবং শ্যামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. লুঝেন চেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আশিক উর রহমানস এবং প্রাক্তন পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মুরছালিন বিল্লাহ।