যবিপ্রবি প্রতিনিধি: যবিপ্রবি উপাচার্য , প্রক্টর,ট্রেজারার , রেজিস্ট্রার,হল প্রভোস্ট, রিজেন্ট বোর্ড এর সদস্য ড. ইকবাল কবির জাহিদ সহ উপাচার্যের অনুসারীদের পদত্যাগের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ।
মঙ্গলবার (১৩ ই আগস্ট) বেলা সাড়ে এগারোটার সময় যবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা শেখ হাসিনা ছাত্রী হল , বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবন প্রদক্ষিণ করে তারা প্রশাসনিক ভবনে যায়। সেখানেই তখন তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন । এই সময় তারা উপাচার্য এবং তাঁর সকল অনুসারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
জানা যায় যে , এই বিক্ষোভের পূর্বে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যাুরাল , ছাত্রী হলের সামনে অবস্থিত শেখ হাসিনার ম্যাুরাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের বঙ্গবন্ধুর নাম এবং বঙ্গবন্ধু একাডেমিক গ্যালারির সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করেন। এছাড়াও তারা শেখ হাসিনা কর্তৃক বিভিন্ন ভবনের উদ্বোধন ফলকগুলো ভেঙে দেয়।
এই বিষয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ উসামাহ বলেন যে, আমরা আমাদের দেশ থেকে স্বৈরাচার দূর করতে পারলেও আমরা এখনো আমাদের ক্যাম্পাস থেকে স্বৈরাচার দূর করতে পারিনাই। এছাড়া আমাদের এই ভিসির কাছে ও আমাদের কোনো দাবি নাই কারণ এই স্বৈরাচার দালাল এর কাছে কোনো প্রকার দাবি আমরা রাখতে চাইনা । তাই আমাদের এই আন্দোলন এর একটাই মাত্র দাবি আর সেইটা হলো যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার স্বৈরাচার ভিসি, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, শিক্ষর সমিতি সভাপতিসহ সকল দালালদেরকেই অতিদ্রুত পদত্যাগ করতে হবে।
এছাড়া ,বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ম্যাুরাল ভাঙচুরের বিষয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ সজীব হোসেন বলেন যে, আমাদের আজকের এই কর্মসূচিটা ছিল এই খুনি হাসিনার পরিবারের সকল ধরনের চিহ্ন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুছে দেয়া । আমরা সফল ভাবে তা করেছি । তবে আমারা ক্যাম্পাস এর কোনো ভবনের কোনো ধরনের ক্ষতি করিনি। আমরা ছাত্রী হলের ভিতরে ও প্রবেশ করিনি শুধু বাইরের খুনি হাসিনার মু্রাল টা ভাঙ্গা হয়েছে। জিনোম সেন্টার থেকে খুনি হাসিনার উদ্বোধনী ফলক ও ভাঙ্গা হয়েছে। জিনোম সেন্টারের ভিতরে কোনো শিক্ষার্থী প্রবেশ করেননি। অনেকে বলছেন যে আমরা নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ নষ্ট করছি যেইটা সম্পূর্ণভাবে গুজব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ধরনের ক্ষতি হোক সেইটা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীই চাইবে না। আবার অনেকে এইটাও বলছেন যে আমরা নাকি ছাত্রশিবির বা ছাত্রদল থেকে এই আন্দোলন করছি। তাদের জন্য বলি এই যবিপ্রবিতে সকল প্রকার রাজনৈতিক সংগঠন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ । তাই আমাদের বিরুদ্ধে এইধরনের কোনো গুজব ছড়ানো বন্ধ করুন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই ধরনের ট্যাগ দিলেই তারা তাদের কর্মসূচি থেকে কোনোভাবে সরে আসবে না। আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছেন তাদের প্রত্যেককেই জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে । আমি সকল শিক্ষার্থীদের বলব যে আপনারা দলে দলে বিভক্ত না হয়ে সকলে একত্রিত হয়ে কর্মসূচি পালন করি , আমাদের মাঝে কোনো তৃতীয় পক্ষের কাউকে সুযোগ দিবেন না ।
এছাড়াও ইএসটি বিভাগের হাবিব আহমেদ শান বলেন যে , আমারা আগামীকাল সকাল এগারোটার সময় ‘মার্চ টু প্রশাসনিক ভবন’ ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। আপনাদের সকলকে আমরা অনুরোধ করবো যে আমাদের আগামী দিনের এই কর্মসূচিকে সফল করতে আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন। এই স্বৈরাচার ভিসি ও তাঁর দালালদের পদত্যাগ এর দাবিতে আপনারা সকলেই এগিয়ে আসুন।