রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘টঙের গান’ এর উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে শীত উৎসব উৎযাপন হয়েছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকাল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে রম্য বিতর্ক প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে উৎসবের শুরু হয়।
এই উৎসবে ৯টি স্টলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিঠার পসরা সাজিয়ে শীত উৎসব উদযাপন করেন।
দশের অধিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এধরনের আয়োজনে শিক্ষার্থীরা অত্যান্ত আনন্দিত এবং প্রতি ঋতুতেই এমন নানা আয়োজনের অংশ হয়ে সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে চান। এই শীত উৎসবের পিঠা মেলার আরো সময় বাড়িয়ে দিলে মেলা আরো জমজমাট হয়ে উঠবে বলে তারা মনে করেন।
এ উৎসব আয়োজন বিষয়ে ‘টঙের গান’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও লিড ভোকালিস্ট মাহমুদুল হাসান আবির বলেন, আমরা লোকসঙ্গীতের প্রচার ও প্রসারে কাজ করছি। মানুষকে দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে একই বন্ধনে আবদ্ধ রাখতেই আমাদের আজকের এ আয়োজন। এখানে রংপুরের আঞ্চলিক ও দেশীয় পিঠা উৎসবেরও আয়োজন করেছি আমরা। এই উৎসবে ব্যাপক লোকসমাগম দেখে আমাদের শ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
এদিকে উৎসব উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা গ্রিন ইকো বেরোবি শাখা, MCJ পিঠা বাহার, গণিত বিভাগ, পিঠা কুঞ্জ, স্বাধের বাহার, টঙের গান, বৃহত্তর ফরিদপুর ছাত্র কল্যাণ পরিষদ, ব্যাচেলর পয়েন্ট, ৩১০ বঙ্গমাতা হলসহ আরও বিভিন্ন নামে পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা, মালপোয়া, দুধ চিতই, দুধপুলি গাজরের বরফিসহ নানান স্বাদের পিঠার পসরা সাজিয়ে স্টল বসান।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে গ্রিন ইকো বেরোবি শাখা স্টলের সৃষ্টি বলেন প্রথমেই ‘টঙের গান’কে ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি আয়োজন করার জন্য। গ্রিন ইকো অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে আমাদের স্টলে আমরা কিছু পিঠার আয়োজন করেছি। পিঠার পাশাপাশি আমাদের এখানে পাওয়া যাচ্ছে কাগজের তৈরি পরিবেশবান্ধব বিশেষ কলম।
শেষে অনুষ্ঠানে ফকির সাহেব এবং ব্যান্ড ‘টঙের গান’ সঙ্গীত পরিবেশন করে।
উল্লেখ্য, টঙের গান ২০২২ সালে ‘ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেজ্ঞ’ এবং ২০২৩ সালে ‘জয় বাংলা ইউ্যুথ আওয়ার্ড’ পান। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০সালে টঙের গান প্রতিষ্ঠা করেন।
আকবর আলী রাতুল
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়