সেতুটির অবস্থান ফুলবাড়িয়া-ত্রিশাল ধুরধুরিয়া সড়কের ছাগলছিঁড়া রাঙ্গামাটিয়া খালের ওপর।সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স।এর ব্যয় ধরা হয় প্রায় তিন কোটি ৪০ লাখ টাকা। চুক্তি মতে, ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর। কিন্তু কাজ শেষ করতে না পারায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ পর্যন্ত ৯ বার চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।চিঠির জবাব দিয়ে প্রতিবার সময় নিয়েছেন ঠিকাদার। সর্বশেষ সময় অনুযায়ী, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে সেতুর কাজ শেষ করার কথা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফুলবাড়িয়া ও রাধাকানাই ইউনিয়নের শেষ সীমানায় চৌধার ছাগলছিঁড়া রাঙ্গামাটিয়া খালের ওপর নির্মীয়মাণ আরসিসি গার্ডার সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন বা কোনো নির্মাণ শ্রমিক নেই। নির্মীয়মাণ সেতুর বেইস গার্ডারের রডগুলোতে মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।সেতুর পাশে পড়ে থাকা কয়েক বান্ডেল রড মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে। মানুষের যাতায়াতের জন্য পাশে ছোট্ট একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। মানুষজন হেঁটে চলাচল করে। ব্যাটারিচালিত অটোবাইক, ভ্যানগাড়ি যাত্রীদের নির্মীয়মাণ সেতুর পশ্চিম পাশে নামিয়ে দেয়। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সাঁকো পার হয় না যাত্রীবাহী ছোট যানবাহনগুলো।সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কালক্ষেপণ করে গ্রামের মানুষকে যে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে, যা কল্পনা করা যায় না।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মো. নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তহবিল না থাকায় সেতুর কাজটি শেষ করতে পারছি না। কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তা-ও বলতে পারছি না। তিন বছর যাবৎ গ্রামের মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে, আমরাও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’