দেশব্যাপী শিক্ষার্থী আর চাকুরী প্রত্যাশীরা যখন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল সংক্রান্ত আদালতের রায় প্রত্যাহার ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করছে ঠিক সেই মুহূর্তে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক শেখ মাজেদুল ইসলাম।
এই অধ্যাপক তার বেক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, “আমার মরহুম বাবা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, উনি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন দেশের স্বাধীনতার জন্য, তার বিনিময়ে আমার সন্তানকে সুবিধা দেয়াটা অযৌক্তিক। ৫৩ বছর বয়সী বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে…” মুহূর্তেই এই পোস্ট ছড়িয়ে পরে নেট দুনিয়ায়।
এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা নানা আলোচনা-সমলোচোনা জন্ম দিয়েছেন। মন্তব্যের ঘরে কেউ কেউ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কী না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহাগ মন্তব্যে লিখেছেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কোনো শিক্ষক হিসেবে আপনি কোটা বিষয়ে মন্তব্য করলেন। আপনার সততা ও বিবেচনাবোধকে কুর্ণিশ জানাই।
লেখক ও সাংবাদিক পরিচয়ে মনিরুল ইসলাম লিখেছেন, কোটা সংস্কার কোন বেক্তির আন্দোলন নয়। তাই দল-মত-নির্বিশেষে সকলের উচিৎ কোটা প্রথা বাতিলে এগিয়ে আসা।