মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের উপর হামলার চেষ্টা চালানোর প্রতিবাদে সংযুক্ত কর্মকর্তা অপসারণ ও বিচারের দাবিতে এনালাইটিক্যাল সার্ভিসেস উইং এর কর্মকর্তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করেন।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এসআরডিআই এর এনালাইটিক্যাল সার্ভিসেস উইং এর প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তারা আদালতের এনক্যাডারমেন্ট সংক্রান্ত রায় বাস্তবায়ন করন ও বিভিন্ন বৈষম্যনিরসনের দাবি নিয়ে মহাপরিচালকের দপ্তরে গেলে তিনি কোন সমাধান না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এসময় অফিসাররা ডিজির কাছে সমাধান চাইলে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারিরা কর্মকর্তাদের সেখান থেকে সরে যেতে বলেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। কর্মকর্তারা মহাপরিচালকের কাছে তাদের দাবির বিষয়ে অনড় থাকলে কর্মচারিরা কর্মকর্তাদের গায়ে হাত দিতে উদ্যত হন। এছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে উপপরিচালক না থাকলেও অবৈধভাবে উপপরিচালক (প্রশাসন) পদে বসা শরিফুল ইসলাম সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে তর্কে জড়ান ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন।
এসবের প্রেক্ষিতে আদালতের এনক্যাডারমেন্ট বিষয়ক রায় দ্রুত বাস্তবায়ন, ডিজির সংযুক্ত কর্মকর্তার অপসারণ ও কর্মকর্তাদের উপর হামলা চেষ্টার বিচারের দাবিতে এনালাইটিক্যাল সার্ভিসেস উইং এর কর্মকর্তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৃত্তিকা সম্পদ ইন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, রায় বাস্তবায়নের জন্য আমি কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। মন্ত্রনালয় থেকে পরবর্তীতে বৃহস্পতিবারের (১৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যে আমি কেন আপিল করবো না এবং এক্ষেত্রে রায় বাস্তবায়ন হলে সরকারের আর্থিক কোনো ক্ষতি হবে কিনা জানতে চেয়ে জবাব চেয়েছে। বিভিন্ন কারণে এটা পাঠানো সম্ভব হয় নি। তবে মঙ্গলবার সকলের সাথে আলোচনা করে মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে দেবো। কর্মবিরতির বিষয়ে তিনি বলেন, এখনও কর্মবিরতি শুরু হয় নি, আগামীকাল মন্ত্রণালয়ে জবাব না পাঠালে তারা কর্মবিরতিতে যাবে বলে জানতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, কৃষি মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান মৃত্তিকা সম্পর্কিত উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এসআরডিআই ক্যাডার ও নন-ক্যাডার দুইটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ফলে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, পদায়ন, প্রশিক্ষণ সহ নানাবিধ বৈষম্যের প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সামগ্রিক এনক্যাডারমেন্ট করার নির্দেশনা দেয়। পরবর্তীতে নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়োগ বিধি চ্যালেঞ্জ করে ক্যাডার কর্মকর্তাদের দায়েরকৃত মামলা গত ২০ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগ থেকে রায়ের মাধ্যমে পক্ষভূক্ত প্রথম শ্রেণির ৮৯ জন নন-ক্যাডার কর্মকর্তাকে বিশেষ বিধানের মাধ্যমে বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারের সাথে একীভূত করার আদেশ প্রদান করা হয়।