গত ৭ই অক্টোবর থেকে নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে গাজায় ব্যাপক ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এর ফলে একের পর এক বোমা হামলায় ফিলিস্তিনের অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। এসব স্থাপনা রক্ষায় ইউনেস্কোকে আবেদন জানায় হামাস।
গত শুক্রবার ওমারি মসজিদের ধবংসাবশেষ এর ছবি প্রকাশ করে হামাস। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলায় গাজার সবচেয়ে বড় মসজিদ দ্য গ্রেট ওমারিসহ ১০৪টি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে।বর্তমানে শুধু মসজিদের মিনারটি অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি অন্তত পঞ্চদশ শতক থেকে খ্রিষ্টান ও মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান ছিল।
কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সপ্তম শতকে গাজা সিটির কেন্দ্রস্থলে নির্মিত হয় দ্য গ্রেট ওমারি মসজিদ। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমরের (রা.) নামে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছিল। দেড় হাজার বছরের পুরোনো মসজিদটি ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ঐতিহ্যবাহী এই ইসলামিক স্থাপত্যকে বাতিঘর হিসেবে বিশ্বাস করেন গাজাবাসী।
গাজার পর্যটন ও প্রত্নতাত্ত্বিক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০৪টি মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল।
গত দুই মাস ধরে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের সংঘাত এখন পর্যন্ত চলছেই। এই যুদ্ধ থামার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছেনা । এদিকে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর ) জাতিসংঘের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে ভেটো প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে এই সংঘাত আরও দীর্ঘ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।