কি কারনে ঐশ্বরিয়ার ১৮ তলার ফ্ল্যাট থেকে ঝাঁপ দিতে চেয়েছিলেন সালমান, চলুন জেনে নেওয়া যান সেই ঘটনাটি…..
১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল দে চুকে সানম’র সেটে শুরু হয়েছিল ঐশ্বরিয়া-সালমানের প্রেমকাহিনি। তবে ২০০২ আসতে না আসতেই তা এক তিক্ত মোড় নেয়।
বিচ্ছেদের পর একটি হৃদয়বিদারক বার্তা। দিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। সেখানে সম্পর্ক ভাঙার কারণ অভিনেত্রী হিসেবে জানান, সালমান মদ্যপ অবস্থায় তার ওপর অত্যাচার করতেন শারীরিক ও মানসিকভাবে। শুধু তাই নয়, করতেন গালাগালও। তাই নিজের সম্মানের কথা মাথায় রেখেই নিয়েছিলেন সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত। ঐশ্বরিয়ার বিশ্বাস ছিল— তার জায়গায় অন্য কোনো আত্মমর্যাদাসম্পন্ন নারী থাকলেও তেমনটাই করতেন।
বলিউডপাড়ায় শোনা যায়, (চলতে চলতে)সিনেমা থেকে ঐশ্বরিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সালমানের কারণেই। পরে সেই জায়গায় এসেছিলেন রানি মুখার্জি। সেটে ঐশ্বরিয়াকে দেখতে এসে সবার সামনেই নাকি ঝামেলা করেছিলেন সালমান। এমনকি এ নিয়ে হাতাহাতিও হয়েছিল শাহরুখ খানের সঙ্গে। কিং খান আর ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে ব্যাপক সন্দেহও করতেন সালমান খান, এমন অভিযোগও রয়েছে সালমানের বিরুদ্ধে।
মূলত সেই ঘটনার রেশ ধরেই নাকি মাঝ রাতে ঐশ্বরিয়ার ১৮ তলার ফ্ল্যাটে চলে আসেন সালমান। ক্রমাগত দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন। ওই ১৮ তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার হুমকিও দিতে থাকেন, যা চলেছিল রাত ৩-৪টা পর্যন্ত বলে জানিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। অনবরত ধাক্কা মারার কারণে রক্ত পড়ছিল ঐশ্বরিয়ার হাত থেকে। একসময় বাধ্য হন ঐশ্বরিয়া সালমানকে তার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করতে দিতে।
শুধু তাই নয়, ঐশ্বরিয়াকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন সালমান। কিন্তু তখনই বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না অভিনেত্রী। যা নিয়ে রীতিমতো কথা কাটাকাটি হয় দুজনের মধ্যে।