অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত প্রায়ই বিভিন্ন বিতর্কের কেন্দ্রে থাকেন, বিশেষ করে ব্যক্তিগত জীবন ও মতামত নিয়ে। বর্তমানে তিনি তার আসন্ন সিনেমা “এমার্জেন্সি” প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন। তবে, শিখ সম্প্রদায়ের একটি অংশ দাবি করেছে যে, এই সিনেমার গল্প তাদের মর্যাদায় আঘাত হানছে। এর আগে তারা সিনেমাটির মুক্তি বন্ধ করার দাবি তুলেছিল, কিন্তু এবার কঙ্গনা সরাসরি হত্যার হুমকির মুখে পড়েছেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে পাঞ্জাবের প্রভাবশালী শিখ নেতা ভিকি থমাস সিং কঙ্গনাকে হুমকি দিচ্ছেন। ভিডিওতে তিনি বলেন, “ইতিহাস বদলানো যায় না। যদি তারা শিখদের সন্ত্রাসবাদী হিসেবে উপস্থাপন করেন, তাহলে মনে রাখবেন যার সিনেমা বানাচ্ছেন, তার কী পরিণতি হয়েছিল। যারা আমাদের উঁচু করে, সেই আঙুলই আমরা কেটে দেই। আমরা যদি নিজের গলা কাটতে পারি, তাহলে অন্যের গলাও কাটতে পারি।”
ভিডিওতে আরও একজন ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, “আপনি যদি এই সিনেমা মুক্তি দেন, তাহলে সর্দাররা আপনাকে জুতা দিয়ে মারবে। আপনি ইতোমধ্যে থাপ্পড় খেয়েছেন। আমি একজন গর্বিত ভারতীয় এবং যদি আমি আপনাকে কোথাও দেখতে পাই, আমি জুতা দিয়ে মেরে আপনাকে স্বাগত জানাবো।”
প্রাক্তন বিগ বস প্রতিযোগী এবং বিতর্কিত অভিনেতা আজাজ খানকেও ভিডিওতে দেখা গেছে। কঙ্গনা নিজেও এই ভিডিওটি দেখেছেন এবং এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বের টুইটার) শেয়ার করে মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, এবং হিমাচলপ্রদেশের পুলিশকে ট্যাগ করেছেন।
শিরোমণি গুরুদুয়ারা প্রবন্ধক কমিটি (এসজিপিসি)-র প্রধান হরজিন্দর সিং ধামী সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইআর করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, অতীতেও চলচ্চিত্রে শিখদের ভুল উপস্থাপনের কারণে তাদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।
সিনেমাটির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে, তিনি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) কে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিহিত করেন এবং সেন্সর বোর্ডে শিখ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান। এছাড়া, অকাল তখতের প্রধান জ্ঞানী রঘবীর সিংও দাবি করেছেন যে ছবিটি ইচ্ছাকৃতভাবে শিখদের চরিত্রকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে, যা একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
এমএ//