শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের শুরুতে সমর্থন জানিয়ে তরুণ গায়ক তাসরিফ খান মানসিক নির্যাতনের শিকার হন এবং পালিয়ে থাকতে বাধ্য হন। তার মতো আরও কয়েকজন জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটরও এই সময় একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হন।
সম্প্রতি তাসরিফ খান এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ২৩ জুলাই রাতে একটি এজেন্সি ও সরকারি সংস্থার লোকজন তার বাসার নিচে এসে তাকে সরকারের পক্ষে ভিডিও তৈরি করার জন্য অর্থ ও হুমকি দেয়। তাসরিফের দাবি, এই ঘটনার পেছনে কাজ করেছিলেন দেশের একজন সিনিয়র ইনফ্লুয়েন্সার, যিনি তাকে নিচে নামতে বলেছিলেন। তবে স্ট্যাটাসে সেই ইনফ্লুয়েন্সারের নাম প্রকাশ করেননি তাসরিফ। কিন্তু পোস্টের পর থেকেই কমেন্টবক্সে তার শুভাকাঙ্খী ও সহকর্মীরা দাবি করেন যে, সেই ইনফ্লুয়েন্সার সোলায়মান সুখন।
আর এস ফাহিম চৌধুরী, রাকিন আবসারসহ আরও কয়েকজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরও দাবি করেছেন যে, তাদের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে এবং পরোক্ষভাবে তারা সোলায়মান সুখনকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন।
এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমে সোলায়মান সুখন বলেন, তিনি তাসরিফকে কোনো ধরনের হুমকি দেননি এবং এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেন, “আমি কেন একজনকে হুমকি-ধমকি দিতে যাব? আমার এই বয়সে কি এসব মানায়? আমি একটি চাকরি করি, কাজের অনেক চাপ থাকে। কেউ কিছু লিখলে লিখুক, আমি আর কিছু বলতে চাই না।”
অন্যদিকে, সিনিয়র সেই ইনফ্লুয়েন্সারের বিষয়ে তাসরিফ জানান, ওই ইনফ্লুয়েন্সার তাকে ফোন দিয়ে অনুরোধ করেছেন তার নাম প্রকাশ না করার জন্য, কারণ এতে তিনি বিপদে পড়তে পারেন। তাসরিফ তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন, কারণ তিনি চান ওই ব্যক্তি নিজেকে শুধরে নিক।
আর এস ফাহিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “কোটা আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় আমার নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়, পরিবারের ওপর হামলা হয় এবং আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এস এস অক্ষরের এক সিনিয়র ইনফ্লুয়েন্সার (সোলাইমান সুখন) এবং আমার এক কাছের ইনফ্লুয়েন্সার বন্ধু।”
এতো দিন চুপ থাকলেও এবার মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন বলে একটি ভিডিও বার্তায় জানান আর এস ফাহিম চৌধুরী। কোটা আন্দোলনের সময় তাকে টাকা দিয়ে একটি ভিডিও করতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তিনি এতে রাজি হননি এবং মৃত্যুর ভয় জেনেও বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের রাফসানও এমনই এক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তাকেও ভিডিও তৈরি করতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়টি তিনি তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন।
এমএ//