সরকারি চাকরিতে কোটা পুর্নবহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। টানা ষষ্ঠ দিনের মতো এ কোটা বিরোধী আন্দোলন করেন তারা।শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে’ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এর পর মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দাবি তুলে ধরেন ।অন্যান্য দাবিগুলো হলো- ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।
বিক্ষোভ মিছিলে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘আজকে আমরা আবাসিক হলগুলোতে গণসংযোগ করেছি। আগামীকাল বিকাল তিনটা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের কর্মসূচি রয়েছে । দাবি আদায় না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যাব। কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনকে সফল রুপ দিতে প্রয়োজনে পুরো দেশ অচল করে দেয়া হবে।’
পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, বিচারব্যবস্থা মানুষের আশা ভরসার প্রতীক। আদালতের সিদ্ধান্ত যখন জনগণের ইচ্ছার বিপরীতে যায় তখন তারা স্বাভাবিকভাবেই বিক্ষোভ আন্দোলন করবে। কিন্তু কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কটাক্ষ করা মূলত আমলাতন্ত্রের ধৃষ্টতার প্রমাণ দেয়। কোটা দিয়ে তারা যে বৈষম্যের সৃষ্টি করছে সেই বৈষম্য বহাল রাখতে তারা বদ্ধ পরিকর। আমরাও আমাদের প্রাণের দাবি, অস্তিত্বের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাব।
রবিউল হাসান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়