রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ ও আবাসিক হলে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে গণ কোরআন তিলাওয়াত কর্মসূচি পালন করা হয়েছে ।
সোমবার(১৩জানুয়ারি) বিকালে রাবি দাওয়াহ কমিটির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় ৷
কর্মসূচিতে আরবি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ, আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের আতিকুল্লাহ, ইতিহাস বিভাগের আতিক শাহরিয়ারসহ সাদিকুন্নবি, নাসিম, হারুনর রশীদ ও হাফেজ মেহেদী হাসান কোরআন শরীফের কিছু অংশ তিলাওয়াত করেন।
কর্মসূচিতে উপ-উপাচার্য( প্রশাসন) মাঈন উদ্দিন খান বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর একটি চক্রান্তকারী গোষ্ঠি মাথা লুকিয়ে আছে।তারা কোরআনে আগুন দেওয়ার মাধ্যমে মুসলমানদের হৃদয়ে আগুন জ্বালিয়েছে।আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে আন্তঃরিক ধন্যবাদ জানাই তারা ধৈর্য সহকারে মোকাবেলা করে গঠনমূলক কর্মসূচি দিয়ে প্রতিবাদ করে তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে।আমি চাই এই ধরনের কর্মসূচি প্রতিটি হলে হলে ছড়িয়ে যাক।এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চলছে এবং ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি ঘটলে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
আয়োজক কমিটির সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শোয়েবুল হাসান বলেন, ইদানীং ইসলাম বিরোধী সংগঠনগুলো বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে।বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে উস্কানি দিয়ে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।তবে মুসলমানরা এখানে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে।প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি এধরণের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক।ইসলাম শান্তির ধর্ম সেকারণেই আমরা সহ্য করে যাচ্ছি।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শনিবার(১১জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি আবাসিক হল থেকে আগুনে পোড়া ধর্মগ্রন্থ আল- কোরআন উদ্ধার করা হয়। এবং বিষয়টি তদন্তে ৯ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে
দীন//বিএন