গত শনিবার গাজার একটি টানেল থেকে ছয়জন ইসরায়েলি জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কাছে তাদের জীবিত উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়ায় দায় স্বীকার করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি জিম্মিদের জীবিত ফেরত আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে, হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তি না হলে এমন পরিণতি আরও ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছে। ইসরায়েলে যুদ্ধবিরতির চুক্তি ও জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে নেমেছে। নেতানিয়াহু জানান, অবশিষ্ট জিম্মিদের উদ্ধার করতে তিনি সামরিক শক্তির প্রয়োগ অব্যাহত রাখবেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিক্ষোভের দিন প্রধান ট্রেড ইউনিয়ন হিস্ট্রাড্রট সংহতি প্রকাশ করে ধর্মঘট পালন করেছে। এক সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামাস ও ইসরায়েলকে নতুন প্রস্তাব দেওয়া হবে।
গতকাল ইসরায়েলের শহরগুলোতে বিক্ষোভকারীরা বেশিরভাগই শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করলেও, তেল আবিবে কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে একটি প্রধান মহাসড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে এবং ২৯ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে। জেরুজালেমেও বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করে এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ করেন। তারা অভিযোগ করেন যে, নেতানিয়াহু হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে যথেষ্ট চেষ্টা করেননি এবং এখনই জিম্মি মুক্তির জন্য চুক্তির দাবি তোলেন।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের মতে, গতকাল জেরুজালেম, তেল আবিব ও অন্যান্য শহরে পাঁচ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে গাজার বন্দি ১০১ জন ইসরায়েলিকে মুক্তির জন্য আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রবিবার, জেরুজালেমে বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করে এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন। ড্রোন ফুটেজে তেল আবিবের প্রধান মহাসড়ক বিক্ষোভকারীদের দখলে থাকতে দেখা যায়।