পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র জনতার’ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। অবরোধের কারণে দুই জেলার পরিস্থিতি থমথমে হয়ে আছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ‘সিএইচটি ব্লকেড’ নামে এই অবরোধ কর্মসূচিতে বন্ধ রয়েছে দোকান পাট, বাজার, নৌঘাট এবং সব ধরনের যানবাহন চলাচল। ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র জনতার’ ব্যানারে গতকাল শুক্রবার ৭২ ঘণ্টার এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
এদিকে পাহাড়ে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং পরবর্তী যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। অপরদিকে অবরোধের সমর্থনে কয়েকটি স্থানে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে অবরোধকারীদের।
রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির প্রশাসন ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকে রাঙামাটিতে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করছে না। শহরের সবচেয়ে বড় বাজার রিজার্ভ বাজার, বনরূপাসহ শহরের সকল ব্যস্ততম এলাকা রীতিমতো স্তব্দ হয়ে আছে। সাধারণ মানুষের চলাচলও নেই। বন্ধ রয়েছে রিজার্ভ বাজার নৌ ঘাটে নৌযান চলাচলও।
এদিকে খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কোনো দোকানপাট খুলেনি। যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকায় রাঙামাটি সড়কে চলাচলকারী বাস কাউন্টারের কর্মী নজরুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম থেকে কোনো বাস রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। বিপরীতমুখী কোনো বাস বা অন্যান্য যানবাহন শহরে প্রবেশ করেনি।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, শহরের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন এবং আইনশৃংখলবাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পরিদর্শন করবেন এবং বিভিন্ন মহলের সাথে মতবিনিময় করবেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জিপ মালিক সমিতির সভাপতি নির্নিমেষ দেওয়ান জানান, আজ অবরোধ কর্মসূচির ফলে কোনো গাড়ি চলাচল করছে না। সাজেকে পর্যটক পরিবহনে নিয়োজিত সব জিপ ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।