প্রয়াত গীতিকার, প্রযোজক ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার এক দশক আগে ‘আপসহীন’ নামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জীবনীভিত্তিক একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেছিলেন। তবে কিছুদিন শুটিং করার পর ছবিটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হঠাৎ করেই ‘আপসহীন’ ছবির মুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
শনিবার (২৪ আগস্ট) ছবিটির প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পী ও প্রযোজক হেলাল খান জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার বায়োপিক মুক্তির খবরটি সঠিক নয়। তিনি বলেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বায়োপিক ‘আপসহীন’ ছবির মুক্তির খবরটি কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল ও ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে, যা ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দুরভিসন্ধিমূলক। আসলে ছবির শুটিংই শেষ হয়নি।”
হেলাল খান আরও বলেন, “শুটিংয়ের সময়ের কথা খুব একটা মনে নেই, তবে যতদূর মনে পড়ে, আমরা এফডিসিতে মাত্র ৫-৭ দিন শুটিং করেছিলাম। তারপর পুরো কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ করে শুনলাম, ‘আপসহীন’ মুক্তি পাচ্ছে! এই খবরে আমি অবাক ও বিব্রত হয়েছি।”
তিনি জানান, “২০১৩ সালে গাজী মাজহারুল আনোয়ার ভাইয়ের সঙ্গে ‘আপসহীন’ বায়োপিক নির্মাণের পরিকল্পনা করি। কিছু শুটিংও করেছিলাম, কিন্তু রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আর কোনো শুটিং হয়নি। বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন এসেছে, এবং খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বায়োপিকের কাজ বন্ধই ছিল। যেসব গণমাধ্যমে ছবির মুক্তির খবর এসেছে, তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন, এবং ষড়যন্ত্রমূলক।”
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ছেলে সরফরাজ আনোয়ারও এই বিষয়ে বলেন, “২০১৩ সালে শুনেছিলাম ‘আপসহীন’ নামে একটি বায়োপিক হচ্ছে, যা খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে। কিছুদিন শুটিং হয়েছিল, তারপর নানা প্রতিকূলতায় তা বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি, ‘আপসহীন’ মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু যে ছবির শুটিংই শেষ হয়নি, তা মুক্তি পায় কীভাবে! আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি এবং ছবির মুক্তির কোনো পরিকল্পনাও নেই।”
ছবিতে খালেদা জিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ।
এমএ//