গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় বুধবার (১৫ মে) একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮৪ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে সহিংসতা কমার কোনো লক্ষণ নেই।
সম্প্রতি দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এবার উত্তরাঞ্চলেও অভিযান জোরদার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। আল শিফা হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে সেনা অভিযানে প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
এমন দুঃসময়ের মধ্যেই ফিলিস্তিনিরা পালন করেছেন ‘নাকবা দিবস’—জাতিগত বিপর্যয়ের ৭৭তম বার্ষিকী। বুধবার পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। জাতীয় পতাকা হাতে তারা ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “আমরা বিশ্বের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে সহায়তা করুন। এই হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধ থামাতে এগিয়ে আসুন। এই অনাহার ও নিপীড়নের মূল উদ্দেশ্যই আমাদের উচ্ছেদ করা, কিন্তু আমরা কখনোই দেশ ছাড়ব না, ফিলিস্তিন আমাদের চিরকালীন আবাস।”
নাকবা দিবসটি মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে এক গভীর ট্র্যাজেডির প্রতীক। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পরদিন, ১৫ মে, শুরু হয় ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়ন। এই সময় প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনিকে তাদের বাসভূমি থেকে জোরপূর্বক উৎখাত করা হয়। সেই স্মৃতিতে প্রতিবছর ১৫ মে দিনটি ‘নাকবা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন ফিলিস্তিনিরা।