দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে হরতাল-অবরোধের নামে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে নির্বাচনের পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধারণা করছে, বিদ্যুকেন্দ্র, ট্রেন, টিভি স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা হতে পারে। এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি এ এফ এম আনজুমান কালামের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে ‘সড়ক পথে যাতায়াতের পাশাপাশি জনসাধারণের রেলপথে ভ্রমণ বা যাতায়াতের প্রবণতা বাড়ছে।
আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দুষ্কৃতকারীরা রেলস্টেশন ও ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটাতে পারে, এমন ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো তত্পর হওয়া প্রয়োজন।
’
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, নির্বাচনের পর নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনা আর ঘটেনি। তবে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আবারও আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই আন্দোলনের নামে আবারও ভাঙচুর ও আগুনের ঘটতে পারে।
ডিআইজি মো. মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা সব স্টেকহোল্ডার নিয়ে বসেছি। দফায় দফায় মিটিং করেছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত আছে।’