অনুসারীদের দ্বারা সম্প্রতি অবাঞ্ছিত হওয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন এখন রয়েছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে, অবাঞ্ছিত হবার পর ঘরের বাইরে দেখা মেলেনি তার।
অবাঞ্ছিত সম্পাদককে কে ছাড়াই সাভার-আশুলিয়ার সাংসদ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে নেতা-কর্মীরা।
(বৃহস্পতিবার) ২৫ তারিখ দুপুর ৩টার দিকে সাংসদ সাইফুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আসলে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তারা। এসময় সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল নেতা-কর্মীদের নিয়ে উপস্থিত থাকলেও দেখা যায় নি হাবিবুর রহমান লিটনকে। গত ২৩ জানুয়ারি লিটনকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা তার অনুসারীরা দুই শতাধিক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে পৌছানোর পর নেতা-কর্মীরা সাংসদের সাথে কার্যালয়ে যেতে চাইলে উপাচার্য ও প্রক্টরের নিষেধের কারণে ভেতরে যেতে না পারলেও সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক লিটনের বিক্ষুব্ধ অনুসারীদের পক্ষে সাংগঠনিক সম্পাদক চিন্ময় সরকার সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে হাবিবুর রহমান লিটনকে ফোনে পাওয়া যায় নি।
তবে সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, আজকে শুধুমাত্র একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ থাকার জন্য আসতে পারে নি। এটা স্বাভাবিক। এটা পরিকল্পিত কোনো প্রোগ্রাম না। এমপি মহোদয়ও হুট করে এসেছে। আমরা যে যার জায়গা থেকে এসেছি। এটা ছাত্রলীগের কোনো প্রোগ্রাম না।
বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের দাবি, হাবিবুর রহমান লিটন না আসায় তাদের কর্মসূচি সফল হয়েছে।
নেতাদের একজন চিন্ময় সরকার বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু আদর্শের রাজনীতি করি, ‘এখানে যিনি এসেছেন সাভারের মাননীয় সংসদ সদস্য তিনিও বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করেন। সেই জায়গা থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা খুব স্বাভাবিক। ‘
হাবিবুর রহমান লিটনের অনুপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করায় তিনি আসেননি। তিনি এটা মেনে নিয়েছেন। আর অবাঞ্ছিত হওয়ার পর তা না আসাই স্বাভাবিক ছিল।’
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি লিটনের ৬ টি হলের দুই শতাধিক অনুসারী জমি দখল সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
রবিউল হাসান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়