সৈয়ব আহমেদ সিয়াম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারে নালায় তলিয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ, ড্রেনেজ সিস্টেমের সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ৫ দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান এসব কথা বলেন। সোমবার (২১ এপ্রিল ২০২৫) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন সহ প্রত্যেকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় দরকার। নালায় সেফটি বা ড্রেনেজ সিস্টেমের বিষয়ে এখন আন্দোলন করতে হবে সত্য পাশাপাশি স্থায়ী সমাধান হিসেবে ড্রেনেজ সিস্টেমের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে সিটি গভর্নমেন্ট চালু করতে হবে।
এতে সংগঠনটির সভাপতি শেখ আব্দুল্লাহ্ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, আমরা চাটগাঁবাসীর সাধারণ সম্পাদক এবিএম ইমরান, পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ইকো ফ্রেন্ডসের সভাপতি উত্তম কুমার আচার্য,এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার, সংস্কৃতি কর্মি দিলরুবা খানম, লাল সবুজ সোসাইটির ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার সহকারী কোর্ডিনেটর ফয়েজ সাদ, আব্দুল কাইয়ুম, এমআরটি ক্লাবের সভাপতি রায়হান ইসমাইল, ১ টাকায় বৃক্ষরোপণ চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি নাসরীন জাহান দিপা, সাংগঠনিক সম্পাদক ফাতেহা ফায়রুজ, সদস্য সুমাইয়েত মাহমুদ, মিজান, পার্থ। এছাড়াও চট্টগ্রামে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা একাধিক সংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এবিএম ইমরান বলেন, সময়মত কাজ শেষ না হওয়ায় জলাবদ্ধতার মেগা প্রকল্প এখন মেগা সমস্যা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। যার কারণে প্রতি বছর মানুষ মরছে।
সমাপনী বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি শেখ আব্দুল্লাহ ইয়াছিন বলেন, গত ১৮ এপ্রিল নালায় ডুবে এক শিশু মারা যায়। এই ঘটনা চট্টগ্রামে নতুন নয়। গত ৫ বছরে ৯ জনের এমন মৃত্যু হয়েছে। আমরা আর একটি লাশও দেখতে চাই না।
সেসময় তিনি শিশু মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বর্ষাকাল আসার আগে জনস্বার্থে অতি দ্রত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৫ দফা দাবি করেন। দাবি সমূহ- ১. বিগত ঘটনা সমূহে সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ এসব ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করেছে। সে সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে নালায় শিশু তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দায়সারা বক্তব্য পরিহার করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। ২. বর্ষা আসার আগেই সব কয়টা খাল খননের উদ্যোগ হাতে নিতে হবে। ৩. ড্রেনেজ সিস্টেমের যথাযথ সংস্কার করতে হবে। ৪. দ্রুত সময়ের মধ্যে নালাগুলো পরিষ্কার ও সেফটি বা রেলিং নির্মাণের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠন থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে ও প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তা পরিচালনা করে এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। ৫. যারা ড্রেন বা নালায় প্যাকেট জাতীয় দ্রব্য ফেলে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ও মেয়র বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দ।