বাংলাদেশে এখন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে তাবে এর সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে না কর্মক্ষেত্র।
আমাদের দেশে সরকারি অথবা বেসরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩০। তবে তা বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় অনেক আগে থেকেই। ২০১২ সালে প্রথম প্রস্তাব ওঠে। এরপর থেকে আরোও কয়েক দফা আন্দোলন হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ড.ইউনুসকে প্রধান করে গঠিত হয় অন্তরবর্তী সরকার। এরপর থেকেই মানুষ তাদের যত দাবি দাওয়া আছে সব নিয়ে সামনে আসতে থাকে। তাদের সাথেই আবারো আন্দোলনে নেমেছে চাকরিতে আবেদনের বয়স বাড়াতে চাওয়া চাকরি প্রার্থীরা।
তারই জের ধরে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। এর আগে সকাল ১১টার দিকে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন কয়েক শ চাকরিপ্রত্যাশী। এ সময় তারা নানা ধরনের স্লোগান দেন। পরে সেখান থেকে আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পুলিশ সড়কে (ব্যারিকেড) দিয়ে তাদের আটকে দেয়। তখন আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।পুলিশের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসে কয়েকজন আহত হয়েছেন জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা একটি কেপিআইভুক্ত এলাকা এবং প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সভা-সমাবেশের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এজন্য আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা না সরায় সীমিত আকারে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।
এদিকে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। এই কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে পরামর্শ দেবে।