বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একদফা দাবিতে যখন শিক্ষার্থীরা রাজপথে রক্ত ঝরিয়ে সরকারের পতন চাচ্ছিল, তখন তৌহিদ আফ্রিদির নেতৃত্বে একদল কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং টিকটকার শেখ হাসিনার সাথে হাত মিলিয়ে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
আফ্রিদির নির্দেশে প্রথম ভিডিও তৈরি করেন টিকটকার তাহমিনা চৌধুরী প্রীতি, যিনি কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে ছাত্রদের বিরুদ্ধে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। এক মিনিট তিন সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে প্রীতি প্রথমে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিচার দাবি করেন এবং পরে মেট্রোস্টেশন ও ফুটওভার ব্রিজের জন্য আবেগপ্রবণ বক্তব্য রাখেন। নেটিজেনরা দ্রুতই বুঝতে পারেন যে এই ভিডিওর আসল উদ্দেশ্য কী।
এরপর শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর প্রীতির বাড়িতে হামলা হয়, যার ভিডিও তিনি প্রকাশ করেন। এতে তিনি দাবি করেন যে বিনা কারণে ছাত্ররা তার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে।
তবে এই ভাঙচুরের আসল কারণ ব্যাখ্যা করেছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আর এস ফাহিম চৌধুরী। তার দাবি অনুযায়ী, ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রথম ভিডিওটি প্রীতিই তৈরি করেন এবং এর জন্য তৌহিদ আফ্রিদির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা বিকাশের মাধ্যমে পেয়েছিলেন।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নেটিজেনদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রীতি। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে তাকে নিয়ে কটাক্ষ করা হচ্ছে এবং তাকে বয়কট করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এমএ//