বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী শহীদ মো. মামুন মিয়ার স্মরণে সকাল ১১ টায় শোক সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শ্রেণিকক্ষে শহিদ মামুনের আত্মার মাগফেরাত শোক সভা ও দোয়া করা হয়। কলেজের মসজিদের ইমাম মো. আব্দুল আলিম দোয়া পরিচালনা করেন।
তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক উপস্থিতিতে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে নিহত মামুনের চলে যাওয়া নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। এই সময় নিহত মামুনের পরিবারের ছোট ভাই উপস্থিত ছিল।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা মামুনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, মামুন অত্যন্ত মেধাবী ছিল। মামুনের মতো মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত। তার প্রস্থানে আমাদের বিভাগে এক শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
শোকসভায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, “মামুন আমাদের প্রেরণা ছিল। তার সততা ও উদ্যম আমাদের মুগ্ধ করত। এমন একজন শিক্ষার্থীকে হারানো আমাদের জন্য একটি বড় আঘাত। আমরা তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”
কলেজের উপাধ্যক্ষ মহিউদ্দিন বলেন, “মামুন আমাদের তিতুমীর কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী। তার অকাল মৃত্যু আমাদের সবার জন্য একটি বড় ক্ষতি। তার স্বপ্নপূরণের পথে এমন একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা তার পরিবারের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।”
শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক কাজী ফয়জুর রহমান বলেন, “মামুনের মতো একজন উদ্যমী তরুণের অকাল প্রয়াণ সত্যিই বেদনাদায়ক। সে আমাদের কলেজের শিক্ষার্থী ছিল, এবং তার সাথে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনা আমরা কখনো ভুলতে পারবো না। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।”
উল্লেখ্য, মামুন মিয়া সরকারি তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৭-১৮ বর্ষের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৮ জুলাই রামপুরা ওয়াপদা রোড এলাকায় কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গুলিবিদ্ধ হন মামুন। পরদিন শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
শফিক/এমএ//