জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) মৈমনসিংহ গীতিকার শতবর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাহিত্য-শিল্প বিষয়ক ষষ্ঠ পর্বে মৈমনসিংহ গীতিকা’র শতবর্ষ (১৯২৩-২০২৩) শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলা বিভাগ।
আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের ‘আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি’র সাধারণ সম্পাদক দেবকন্যা সেন এবং ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী। এছাড়া মূল প্রবন্ধে বিভাগের শিক্ষক ড. সাবিনা ইয়াসমিন মৈমনসিংহ-গীতিকার মূল উৎস ও দীনেশচন্দ্র সেনের জীবন সম্পর্কে আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, লোকসাহিত্য এবং লোক মানুষের সৃষ্টি, যা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৃষ্টি হয়, যেটা প্রকৃতিতে সৃষ্টি হয়, নদী-গঙ্গা বেয়ে যাচ্ছে তার ভেতরে কুলকুল শব্দ হয় সেটা কবিরা বুঝেছিলেন। এই যে গাঙের ঢেউ, গাঙের ঢেউয়ের যে ছন্দ তা আমাদেরকে বুঝতে সাহায্য করেছে৷
বাংলা লোকসাহিত্যের গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, দীনেশচন্দ্র সেন যদি এ ‘মৈমনসিংহ-গীতিকা না লিখতেন, আমাদের মধ্যে তুলে না ধরতেন, বাংলা লোকসাহিত্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ত না। আমরা লোকসাহিত্যের গুরুত্ব বুঝতে পারতাম না৷
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক আরও বলেন, প্রকৃতি থেকে বেড়িয়ে আসা সৃষ্টিশীলতার কথা বলে মৈমনসিংহ-গীতিকা। আর এগুলোই বাংলার সৃষ্টিশীলতা৷
কবি জীবনের শুরুর কথা স্মরণ করে নুরুল হুদা বলেন, ১৯৭৫ সালে আমার বয়স ছাব্বিশ। সেসময় আমি, নির্মলেন্দু গুণ ও আবুল হোসেন ছিলাম একসাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে তিন বন্ধু মিলে কবিতা আবৃত্তি করতাম। সামনে দিয়ে যারা হেঁটে যেত, তাঁদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কবিতা আবৃত্তি করতাম।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সেমিনার কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস। এছাড়া আলোচকবৃন্দ হিসেবে ছিলেন বাংলা বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা। এসময় বিভাগীয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মো. জুনায়েত শেখ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি