জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫২ ব্যাচের নবীনদের গণরুমে উঠানো ও অনলাইন ক্লাসের নামে প্রহসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতি ছাত্রসংগঠন।
বৃহস্পতিবার ( ১লা ফেব্রুয়ারি) বেলা দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিব জামানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাবি সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ, কনৌজ কান্তি, সংগঠক সোহাগী সামিয়া, সাংস্কৃতিক জোটের দপ্তর সম্পাদক আহসান লাবিব প্রমুখ।
সঞ্চালনায় হাসিব জামান বলেন, ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের কমিটি ৪২ ব্যাচের অথচ এখন ক্যাম্পাসে ৫২ তম আবর্তন চলে এসেছে। তাদের ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও অবৈধভাবে হলে অবস্থান করে। এই কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃত্রিম আসন সংকট তৈরি হয়েছে।
কনৌজ কান্তি রায় বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার গনরুম বিলুপ্তি করার কথা বললেও তারা এখনো সেটা করতে পারে। প্রশাসন বারবার ই ব্যার্থ হচ্ছে গনরুম বিলুপ্তি করতে।
সাংস্কৃতিক জোটের দপ্তর সম্পাদক আহাসান লাবিব বলেন, গনরুম কালচারের কারনে যে শিক্ষার্থী মাদক কখনো ছৌঁয় নাই তারাও একসময় মাদকে আসক্ত হয়। গনরুমে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের কারনে একজন নবীনদের মেধা নষ্ট করে দেয়।অথচ এইখানেই পড়ে শিক্ষকদের ছেলেমেয়েদের গনরুমে রাখে না কারণ গনরুম একজন শিক্ষার্থীর জন্য উপযুক্ত বাসস্থান নয়।
জাবি সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, গনরুম প্রথা জিয়ে রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই দায়ী। ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রতিটি হলে দুই তিনটি রুম দেওয়া হয়। নতুন হল চালু করার পরও আসন সংকট। অছাত্রদের হল থেকে বের না করার কারনে এই কৃত্রিম আসন সংকট দেখা দিয়েছে। আর এই সংকটের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগকে ব্যবহার করছে।
এছাড়া ও গনরুম নামক অপ সংস্কৃতি রোধে আগামী সোমবার রাতে মশাল মিছিল করার ঘোষণা ও দেন তিনি।
রবিউল হাসান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়