জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদেরকে সমর্থন না জানানো এবং স্বৈরাচার সরকারের দোসর হিসেবে ভূমিকা রাখার দায়ে প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা ও শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারই ধারাবাহিকতায় শহীদ সালাম-বরকত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সুকল্যাণ কুমার কুন্ডুকে শনিবার মধ্যরাতে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিলে তিনি তোপের মুখে দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন।
এবিষয়ে শহীদ সালাম-বরকত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সুকল্যাণ কুমার কুন্ডু বলেন, এই পদত্যাগের জন্য আমি পূর্ব থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। আওয়ামী প্রশাসনের যে অবস্থা এবং দেশের যে পরিস্থিতি তাতে মূলত এটাই আমাদের কাম্য ছিল। কিন্তু আজকে শিক্ষার্থীরা যে মিছিল নিয়ে আসলো এভাবে না হয়ে শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেও পদত্যাগের সিদ্ধান্ত আসতে পারতো। শিক্ষার্থীরা মিছিল ও স্লোগান নিয়ে আসলো এটা উচিত হয়নি। তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে আজকের যে শিক্ষার্থীরা এসেছিল তারাই কি পুরো হলের প্রতিনিধিত্ব করে?
পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যেহেতু চাইছে না তাই আমি কাল বেলা বারোটার মধ্যেই পদত্যাগ পত্র জমা দেবো।
তার আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের হলের প্রভোস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন। তিনি হলের প্রভোস্ট হয়েও শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নেননি। শিক্ষার্থীরা যখন অনিরাপদ ঠিক তখনই নিজের বাসায় রাতে দুইজন গার্ড রাখতেন আর সম্পূর্ণ হল পাহারা দেওয়ার জন্য রাতে একজন গার্ড রাখতেন।
এছাড়াও হলের অবকাঠামগত উন্নয়নে ছিল না তার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। এছাড়াও ছাত্রলীগের সাথে সমঝোতা করে একাধিকবার নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন তিনি।
রবিউল/এমএ//