জাবি প্রতিনিধি :
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পর তাকে ছাত্রলীগ থেকে অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও কালো পতাকা মিছিল করেছে জাবি শাখা ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এসে শেষ হয়।
মিছিলে রোকেয়া হল, আ ফ ম কামালউদ্দিন হল, আল বেরুনী হল, মীর মশাররফ হোসেন হল, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল, শহীদ রফিক জব্বার হল, শহীদ সালাম বরকত হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট সাতটি হলের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ কর্মসূআিতে অবাঞ্ছিত সম্পাদক লিটনের পদত্যাগের দাবিতে “ভূমিদস্যু সম্পাদক মানিনা, মানবোনা। অবাঞ্ছিত সেক্রেটারি মানিনা, মানবোনা। এক দফা, এক দাবি লিটন তুই কবে যাবি। দফা এক দাবি এক সন্ত্রাসী লিটনের পদত্যাগ। হই হই রই লিটন তুই গেলি কই, লিটনের চামড়া তুলে নিব আমরা, লিটনের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে” সহ আরও নানা স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
মিছিল শেষে সংক্ষুব্ধ সমাবেশে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি জাহিদুজ্জামান শাকিল লিখিত বক্তব্যে বলেন, শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক তাকে যে পবিত্র দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছিলো সে তার জুলুম, নিপীড়ন, স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে দায়িত্বের অবহেলা করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করেছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ট্রেন্ডারবাজি, জমিদখল, দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ এবং নেতাকর্মীদের সাথে অসদ আচরণের প্রেক্ষিতে আমরা তাকে গত ২৩ই জানুয়ারি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক তাকে যে পবিত্র দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছিলো সে তার জুলুম, নিপীড়ন, স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে দায়িত্বের অবহেলা করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করেছে। কেন্দ্র থেকে তদন্ত চলাকালীন অবস্থায়, গত ৩১ জানুয়ারি প্রহসনের নামে সিনিয়র নেতা-কর্মীদের সাথে সমন্বয় না করে তিনি যে হল কমিটি গঠন করেছেন, সেখানে ত্যাগীদের বঞ্চিত করে বিবাহিত, অছাত্র, বহিষ্কৃত এবং ক্যাম্পাসে যাদের নামে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। তাদের দ্বারা তড়িঘড়ি করে হল কমিটি গঠন করেছেন। তিনি ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে এই হল কমিটি গঠন করেছেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি এবং তার পদত্যাগ দাবি করছি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি প্রমান করে হাবিবুর রহমান লিটনের পদত্যাগের কোন বিকল্প নেই।
এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে অন্য হলের নেতা-কর্মীদের খোঁজ না রাখা, হল কমিটি না দেওয়া, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ তুলে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন ছয় হলের তার অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
রবিউল হাসান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়