বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে রাজনীতিতে জায়গা করে নেওয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন খোদ তার অনুসারীরা৷ ফলে এসকল অনুসারীরা একযোগে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে বিক্ষোভ করে এ ঘোষণা দেন তারা। এতে যোগ দেয় শাখা ছাত্রলীগের ছয়টি হল ইউনিটের নেতাকর্মীরা। এগুলো হলো আল বেরুণী হল, আ ফ ম কামালউদ্দিন হল, শহীদ সালাম- বরকত হল, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল, শহীদ রফিক- জব্বার হল ও মীর মশাররফ হোসেন হল ইউনিট।
এ সময় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্য দেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ শোয়াইব চৌধুরী। লিখিত বক্তব্যে নেতাকর্মীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে সমন্বয়হীনতা, দায়িত্বের শুরু থেকে কর্মীদের খোঁজ না রাখা, মেয়াদোত্তীর্ণের পরেও কমিটি গঠন না করা, রাজনীতিতে বিকেন্দ্রীকরণ না করে নিজ হলে কেন্দ্রীভূত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় জমি দখল, কর্মীদের সাথে অশোভন আচরণ করাসহ অনৈতিকতার অভিযোগে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে লিটন গণমাধ্যমকে জানান, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর থেকে ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছি। যোগাযোগের চেষ্টা করে আমাকে না পাওয়ার বিষয়টি অবান্তর। এছাড়া অন্য কোন অভিযোগ থাকলে তাও জানাতে পারতো। আর আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের কোন প্রমাণ থাকলে তা দেখাতে পারেন। আমি এ নিয়ে তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছি।’
এর আগে ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নানাভাবে কয়েকদফায় চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগ ওঠে লিটনের বিরুদ্ধে। যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার ফোন করেও কোন সাড়া মেলেনি।
রবিউল হাসান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়