ঘরের মাঠে যে কোন দলকে ঘায়েল করতে স্পিন সবসময়ই অন্যতম শক্তির জায়গা বাংলাদেশের। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেস আক্রমণেও এসেছে উল্লেখযোগ্য উন্নতি। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে আলাদা করে কোনো বিভাগে জোর দিতে রাজি নন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। তার লক্ষ্য—সুপরিকল্পিত, ব্যালান্সড উইকেটে টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা গড়ে তোলা।
রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ম্যাচের আগের দিন উইকেটে দেখা গেছে সতেজ ঘাস, যদিও শনিবারের মধ্যে কিছুটা কমিয়ে ফেলা হতে পারে সবুজের উপস্থিতি। উইকেট প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য ঢাকা থেকে ইতোমধ্যে সিলেটে গেছেন বিসিবির প্রধান কিউরেটর গামিনি সিলভা। উইকেট নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করতে দেখা গেছে তাকে প্রধান কোচ ফিল সিমন্স এবং প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেনের সঙ্গে।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটি সঠিক উইকেট তৈরি করা। দলকে যেখানে নিতে চাই, তার জন্য প্রয়োজন একটি চ্যালেঞ্জিং ও খেলোয়াড় ফ্রেন্ডলি পিচ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আলাদা করে স্পিন উইকেট বানানো জরুরি নয়।”
গত বছর দেশের বাইরে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট জিতলেও, ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। তাই এবার সঠিক উইকেট ও ব্যালান্সড স্কোয়াড দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তারা।
পেস ইউনিটের উন্নতি নিয়েও আশাবাদী টাইগারদের এই কোচ। নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদের মতো তরুণ পেসাররা গত বছর দারুণ পারফর্ম করায় এখন আর শুধুমাত্র স্পিনেই নির্ভর করতে হচ্ছে না দলকে। “আমরা এখন এমন অবস্থানে পৌঁছেছি, যেখানে আলাদা করে পেস বা স্পিনের ওপর নির্ভর না করেও জিততে পারি,” বলেন তিনি। “আজ উইকেট ভালো লাগছে। কাল দেখে বোঝা যাবে, কীভাবে পরিকল্পনা সাজাতে হবে।”