বাবা-মা মারা যাওয়ার পর প্রিয় নানাকে ঘিরেই ছিল পরীমণির জীবন। বলা যায়, তিনি ছিলেন তার আরেকটা জীবন। সেই জীবন হারিয়ে কতটা ভেঙে পড়েছেন এ নায়িকা—সে প্রশ্ন করা বাহুল্য। এবার সামাজিক মাধ্যমে জানালেন বুক ফেটে যাওয়া কষ্টের কথা। দাফনের পর নানা কবরের পাশে বসে থাকা কয়েকটি ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন পরীমণি।
ক্যাপশনে লিখেছেন, ”’এই কবর স্থানে এখন তিনটা কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তারপর নানি আর এই যে আমার জানের মানুষটার কবর। নানু মরে যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগে নাই কোনো দিন।
এই জীবনে আমার নানার মতন কেউ আমাকে ভালোবাসে নাই আর। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তারা সবাই জানেন এই মানুষটা আমার জন্যে কি ছিলো। আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিলো আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বট গাছ করে দিয়ে গেছে।
এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না। যদি আসে সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিবেন এটা আমার নানুর দোয়া। কতো ভাগ্যে আমি আমার নানুর সাথে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানুভাই কতো শান্তনায় রেখে গেলো আমাকে।
জীবন সুন্দর। মৃত্যু যে বড় সুন্দর…….””
বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর নানা শামসুল হক গাজীর অকৃত্রিম ভালোবাসাতেই বড় হয়ে ওঠেন ছোট্ট পরী। তিনিই ছিলেন পরীমণির একমাত্র অভিভাবক।