বিশেষ প্রতিনিধি: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আলোচিত ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় আনুষ্ঠানিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
প্রাথমিকভাবে কেবল শেখ হাসিনাকে অভিযুক্ত করে তদন্ত শুরু হলেও, পরবর্তীতে তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকেও অভিযুক্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রক্রিয়াগতভাবে, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রথমে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে জমা দেয়। সেখান থেকে চিফ প্রসিকিউটর তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা ফরমাল চার্জ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।
‘জুলাই গণহত্যা’ মামলাটি দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম সংবেদনশীল ও আলোচিত ঘটনা। এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একগুচ্ছ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল যা মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতায় পড়ে।
এই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তৎকালীন সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশেই এ গণহত্যা সংঘটিত হয়। এই পটভূমিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল মামলার গুরুত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছে।
মামলাটি এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রবেশ করেছে। এ ধরনের বিচার সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি হলেও, এর মাধ্যমে অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় নির্ধারণ ও জবাবদিহিতার নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।