শান্তিগঞ্জের টাইলা গ্রামে বিয়ের অনুষ্টানে এসে সুরমা নদীতে গোসল করতে নেমে পানির স্রোতে তলিয়ে গিয়ে নিখুজ হয় এবং গ্রামবাসি দুইঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে নদীর তলদেশ থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির নাম জনি দাস(১২)। সে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের শিরারচর গ্রামের মৃত নিখিল দাসের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় অন্য বাচ্চাদের সাথে জনি দাস নামে এই শিশুটি গ্রামের পাশে সুরমা নদীতে গোসল করতে নেমে জনি নিখুজ হয়। পরে টাইলা গ্রামের লোকজন সুরমা নদীতে দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে টাইলা গ্রামে তার মশাতো ভাইয়ের বিয়েতে তার মায়ের সাথে এসেছিল। জনি দাসের মূল বাড়ি ছিল শাল্লা উপজেলার হবিবপুর গ্রামে কিন্ত তার পিতা নিখিল দাসের মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন ধরেই তার মায়ের সাথে তার মামার বাড়ি শিরারচরে বসবাস করে আসছেন। ঘটনাটি তাৎক্ষনিক পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মচরু মিয়াকে অবহিত করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের সম্মতিতে শিশুটির মরদেহ সৎকার করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মছরু মিয়া জানান এই শিশুটি টাইলা গ্রামে তার মশাতো(খালাতো) ভাইয়ের বিয়ে অনুষ্টানে এসেছিল। বাচ্চাদের সাথে সুরমা নদীতে গোসল করতে নেমে পানির স্রোতে শিশু গভীরে যাওয়ার ফলে শিশুটি মারা যায়। আমি এবং ইউপি চেয়ারম্যান মিলে সৎকারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
হায়াত//বিএন