আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মধ্যে একটি টিভি বিতর্কও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে যাওয়ার পর কমলা হ্যারিস বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। অন্যদিকে, ট্রাম্পও তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে এনবিসি টিভির এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪৮ শতাংশ ভোটদাতা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চাইছেন, ৪০ শতাংশ ট্রাম্পকে পছন্দ করছেন।
গত জুলাইয়ে হ্যারিসকে ৩২ শতাংশ ভোটদাতা সমর্থন দিয়েছিলেন, এবং ট্রাম্পের পক্ষে ছিল ৩৮ শতাংশ। এনবিসির সমীক্ষায় জুলাই ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা গেছে। এ সমীক্ষা ১৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে করা হয়েছে এবং এতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা তিন শতাংশ।
অন্য একটি সিবিএস জনমত সমীক্ষায়ও হ্যারিস ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন, যেখানে হ্যারিস ৫২ শতাংশ ও ট্রাম্প ৪৮ শতাংশ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা দেখানো হয়েছে। সিবিএসের দাবি, তাদের সমীক্ষায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা দুই শতাংশ।
রয়টার্স-পিএসওএস-এর একটি জাতীয় সমীক্ষার ফলাফলও একই প্রবণতা নির্দেশ করছে। ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন; তিনি একবার জয়ী হয়েছেন, কিন্তু গতবার বাইডেনের কাছে পরাজিত হয়েছেন। তিনি এ হারকে নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা চলছে।
অন্যদিকে, ৫৯ বছর বয়সী হ্যারিস বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট। হ্যারিস জয়ী হলে, তিনি আমেরিকার ২৪৮ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন।
এনবিসি-কে কুক পলিটিক্যাল রিপোর্টের সম্পাদক ও প্রকাশক অ্যামি ওয়ালটার বলেছেন, হ্যারিস লড়াইয়ের প্রকৃতি বদলে দিতে পেরেছেন। আগে নির্বাচন ছিল বাইডেনের কাজের উপর, এখন তা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গণভোটে পরিণত হয়েছে।
সিবিএস ১৮ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ৩,১২৯ জন ভোটদাতার সঙ্গে কথা বলেছে। আগের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, ট্রাম্প ও হ্যারিস দুজনেই সমান অবস্থানে ছিলেন; তবে এবার হ্যারিস দুই শতাংশ পয়েন্ট এগিয়ে গেছেন।