চোর সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারসাম্যহীন তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক এসে মিলিত হয়।
এসময় “ক্যাম্পাসে লাশ পরে, প্রশাসন কি করে?”, “সন্ত্রাসের ঠিকানা, শিক্ষাঙ্গনে হবে না”, “জ্বালো রে জ্বালো আগুন জ্বালো” “মব কালচার বন্ধ কর, আইনের শাসন চালু কর”, “ক্যাম্পাসে খুন কেন, প্রশাসন জবাব চায়”, “ছাত্রলীগ গেছে যে পথে, খুনীরা যাচ্ছে সে পথে” এমনসব স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এসময় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী নাসিম সরকার বলেন, আমরা আগে দেখেছি এ ধরণের কাজ আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা করতো। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে তার পিছনে কে বা কারা আছে সেটা খুজে বের করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় পিটিয়ে হত্যা জুলাই বিপ্লবের চেতনা হতে পারেনা। যারা এর পিছনে আছে তাদের সবাইকে সামনে এনে বিচার করতে হবে। তাদের বিচার ঠিকমতো হলেই জুলাই আন্দোলনের সফলতা অর্জন হয়েছে কিনা জানা যাবে।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ফুয়াদ রাতুল বলেন, গতকাল ঢাবিতে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী করতে পারেনা। আমার মনে হয় কোনো এক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সাধারণ শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দিয়ে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমাদের দাবি এই ঘটনার পিছনে কারা আছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝেও যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে প্রশাসন তাদেরকে বের করতে হবে। ঢাবি ও জাবির যে প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টর রয়েছে তারাও এর দায় এড়াতে পারেনা। আমরা দাবি জানাচ্ছি তাদেরকে এই ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে।