প্রায় ২০ বছর পর আবারো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলের মসজিদ থেকে ভেসে আসে আজানের মিষ্টি ধ্বনি। মুয়াজ্জিনের সুউচ্চ কণ্ঠ আলোড়িত করে পুরো সলিমুল্লাহ হলকে। দলবেঁধে ছাত্ররাও নামাজ পড়তে আসেন মসজিদ প্রাঙ্গনে। কিছুক্ষণ পরেই মাইকে আজানের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যার ক্যাপশনে অনেকে লেখেন, ছাত্রলীগ নেতাদের ঘুমের সমস্যা হতো বলে ১৫ বছর আগে মাইকে আজান দেওয়া বন্ধ করে দেন তারা। যা দেখে সমালোচনা শুরু করেন নেটিজেনরা। তবে ছাত্রলীগের উপর আনিত অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই বলে বিডিএন৭১ কে নিশ্চিত করেছেন হলের সিনিয়র ইমাম ও খতিব মাওলানা আবুল কালাম আজাদ নাঈম।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, হলে নিয়মিত মুয়াজ্জিন না থাকায় ও সংরক্ষণের অভাবে মাইক নষ্ট হলে তা সংস্কার করা হয়নি। এ কারণে আজান দেওয়া বন্ধ ছিল।
এসএম হলের সিনিয়র এই ইমাম আরও জানান, সলিমুল্লাহ হলের মসজিদে আমার ইমামতির বয়স ২৫ বছরের বেশি। ২০০২ সালের দিকে একজন হাউজ টিউটরের উদ্যোগে মাইক লাগানো হয়েছিল। কিছুদিন সেটা চলমান ছিল। তবে মুয়াজ্জিন না থাকায় একার পক্ষে সবকিছু পরিচালনা করাও কঠিন ছিল। শিক্ষার্থীরাই অধিকাংশ সময় আজান দিতো। কিছুদিন পরে মাইক নষ্ট হলে সেটা ঠিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এরপর থেকে ছোট সাউন্ড বক্সেই আজান দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে অন্যান্য কাজের সাথে মাইকের ব্যবস্থা করে হল প্রশাসন।
ছাত্রলীগের বাধায় আজান বন্ধ ছিলো, এমন প্রশ্নের উত্তরে ইমাম বলেন, না, এটা সত্য নয়। ছাত্রলীগ নেতারা কখনোই আজানের বিষয়ে আমাদের উপর হস্তক্ষেপ করেনি। সামাজিক মাধ্যমে মানুষ না জেনেই বিভিন্নরকম গুজব ছড়াচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাত্র তিনটি ছেলে হল ও ছাত্রী হল ব্যাতীত সকল হলেই নিয়মিত এখন আজান হচ্ছে। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক, একুশে হল ও শহীদুল্লাহ হলে এখনো মাইক নেই। তবে খুব দ্রুতই এসব হলে মাইক লাগানো নিশ্চিত হবে।