বিশেষ প্রতিনিধি: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক পিও ও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবি।
এদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, কেনাকাটায় অনিয়ম, বদলি বাণিজ্যসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে।
রোববার (৪ মে) বিকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ২৭ এপ্রিল যুব অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে উপদেষ্টাদের এপিএস ও পিওদের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে স্মারকলিপি দেয় দুদকে। ‘মার্চ টু দুদক’ কর্মসূচির আওতায় তারা জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে দুদক কার্যালয়ে যান। একই বিষয়ে হাইকোর্টের দুই আইনজীবী নাদিম মাহমুদ ও মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামও পৃথক অভিযোগ দেন, যেখানে ডা. মাহমুদুল হাসানের নামও অন্তর্ভুক্ত।
এদিকে, ২২ এপ্রিল মোয়াজ্জেম হোসেন পদত্যাগ করেন এবং পরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দুদককে অনুরোধ করেন অভিযোগগুলো তদন্ত করতে। ২৫ এপ্রিল তুহিন ফারাবিকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপানোর কাজে অতিরিক্ত মূল্যে কাগজ কেনা সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, বাজারদরের চেয়ে টনপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেশি দিতে বাধ্য হয় মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, তিনজনের বিরুদ্ধেই তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।